বলিউড অভিনেতা সালমান খানকে গত রোববার হত্যার হুমকি দেওয়া হয় । তার বাবা সেলিম খান প্রাতর্ভ্রমণে বের হলে তাকে হুমকি দেওয়া চিঠি দেওয়া হয়। এই হত্যা চেষ্টার মূল হোতা কুখ্যাত গ্যাংস্টার জেলে বন্দী লরেন্স বিষ্ণোই। তিনি মুসে ওয়ালাকে হত্যার ঘটনাতেও জড়িত। মুম্বাই পুলিশ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ইতি মধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।
যদিও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন সালমান খান। সালমানকে গুলি করে হত্যার জন্য তার বাসার সামনে একজন দক্ষ- প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শুটারকে (শার্পশুটার) নিযুক্ত করা হয়েছিল। তার কাছে ছিল খুবই আধুনিক ক্ষুদ্র আগ্নেয়াস্ত্র।
ঘাতক সালমানের খুব কাছে গিয়েও শেষ মুহূর্তে সুযোগ হাতছাড়া করেন। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস নেটওয়ার্ক এ খবর জানিয়েছে। ঘাতক সালমান খানের ইঞ্চিখানেকের মধ্যে এসেছিলেন। সালমানের সাথে সেদিন একজন পুলিশ থাকায় সালমানকে আর গুলি করতে পারেনি অস্ত্রধারী।
টাইমস নেটওয়ার্কের খবরে বলা হচ্ছে সালমান খান শুধু একটা ঝাঁকুনির কারণে বেঁচে যান।
ইতোমধ্যে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর একটি দল দিল্লিতে পৌঁছেই লরেন্স বিষ্ণোই এর দলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে লরেন্সের গ্যাং এর পক্ষ থেকে বিক্রম ব্রারের নির্দেশেই এই হুমকি দেওয়া হয়। সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
বিক্রম এখন রয়েছেন কানাডায়। তার কথা মতোই বেনামি হুমকি চিঠি নিয়ে গত ৫ জুন তিন জন মুম্বাইতে এসে সৌরভ মহাকালের সাথে দেখা করেন বলে জানায় পুলিশ। এই সৌরভকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
জেলে থাকা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এর নির্দেশে তার গ্যাংয়ের তিনজন লোক রাজস্থানের জালোর থেকে মুম্বাই এসেছিল চিঠিটি দেওয়ার জন্য।
পুলিশ জানিয়েছে, চিঠিটি যারা নিয়ে এসেছিল তাদের চিহ্নিত করা গেছে। শিগগির তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।