সিঙ্গাপুর তার বন্দর দিয়ে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের চালান পরিবহন সীমিত করার ঘোষণা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার শিপিং কোম্পানিগুলোর কাছে পাঠানো এক নোটিশে বন্দর কর্তৃপক্ষ এ কথা জানায়।
সিঙ্গাপুর বন্দরের এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়বে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত। কারণ, বাংলাদেশে রপ্তানি পণ্যের প্রায় অর্ধেকই রপ্তানি হয় সিঙ্গাপুর বন্দর ব্যবহার করে। চট্টগ্রাম থেকে ছোট জাহাজে করে পণ্যভর্তি কনটেইনার নিয়ে রাখা হয় সিঙ্গাপুর বন্দরে। সেখান থেকে বড় জাহাজে তুলে গন্তব্য দেশগুলোতে নেওয়া হয় পণ্য। সিঙ্গাপুর ছাড়াও শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দর দিয়ে এভাবে কনটেইনারে
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রপ্তানি হয় ভারত, পাকিস্তান ও ভিয়েতনামে। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকায় রপ্তানি হয়। মূলত সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কার বন্দরে ট্রান্সশিপমেন্ট হয়ে রপ্তানি হয় এসব পণ্য।
‘হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড নিয়ে বিধিনিষেধ’ শীর্ষক সিঙ্গাপুর বন্দরের ওই নোটিশে বলা হয়, ৪ জুন রাতে বাংলাদেশে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর সিঙ্গাপুর বন্দরে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কনটেইনার খালাস হয়।
শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন থেকে বিস্ফোরণে ৪৬ জন নিহত হন। আহত হন দুই শতাধিক। এ ঘটনায় ডিপো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডবাহী কনটেইনার বিস্ফোরণে এ ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
নোটিশে আরও বলা হয়, সিঙ্গাপুর বন্দরে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের কনটেইনার কতগুলো মজুত করা যাবে, সেটির সীমা রয়েছে। বর্তমানে বন্দরটিতে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের চালানের মজুত বেড়ে গেছে। নিরাপদ সীমার মধ্যে রাখতে নতুন করে এর চালান গ্রহণ না করতে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।