শনিবার সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল কন্টেইনার ডিপোর ভেতরে ক্ষতিগ্রস্ত আইটি কক্ষ পরিদর্শন করে। মূলত এই কক্ষ থেকেই পুরো কন্টেইনার ডিপোর আইটি সিস্টেম এবং সিসি ক্যামেরাগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সেখানে থেকে সিআইডির প্রতিনিধি দল বিভিন্ন ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করে। এরপর উদ্ধার করা ডিভিআর মেশিনের পোড়া অংশগুলো জব্দ করেন সিআইডির কর্মকর্তারা।
সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফ জানান, বিএম কন্টেইনার ডিপোর ডিজিটাল আলামতগুলো জব্দ করতে আমরা সরেজমিন পরির্দশন করেছি। ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণে আইটি কক্ষটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখান থেকে সিসি ক্যামেরার ডেটা সংরক্ষণ করা ডিভিআর মেশিনগুলো জব্দ করেছি। তবে সেগুলো আগুনে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এগুলো চালিয়ে দেখার মতো অবস্থায় নেই এখন। তারপরও পরীক্ষার উপযোগী করা যায় কি না, সেই চেষ্টাই সর্বোচ্চ করব আমরা।
তিনি বলেন, ঘটনার সেই দিনের ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেলে তদন্তের অনেক তথ্য-উপাত্তই পাওয়া সম্ভব হবে। যা এই ঘটনার আসল চেহারাও প্রকাশ করতে সহায়ক ভূমি
আগুন পুরোপুরি নেভানোর পর এখন বিএম কন্টেইনার ডিপোর ভেতরে চলছে ধ্বংসস্তুপ সরানো ও ধোঁয়ামোছার কাজ। ডিপো কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব লোকবল ও যন্ত্রপাতি দিয়ে এগুলো সরাচ্ছে। পোড়া ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে নিয়ে পুরোপুরি কাজের উপযোগী করতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগার কথা বলছেন বিএম কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাত ৯টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু ডিপোর কিছু কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণ ঘটে। এত পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠে এবং আগুনের তীব্রতা বাড়ে। পরে সেনাবাহিনীর একটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
বিএম ডিপোর ভয়াবহ বিষ্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। এ ঘটনায় আহত হয়ে এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন শতাধিক মানুষ।