বাকেরগঞ্জে উপজেলার ১১নং ভরপাশা ইউনিয়নের দুধলমৌ এলাকার বাসিন্দা অসহায় স্ত্রী রহিমা বেগম যৌতুকলোভী প্রতারক স্বামী ইমরানসহ পরিবারের ছয়জনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ২৯ জানুয়ারি ২০২১ সালে পরিবারের সন্মতিতে ইসলামি বিধান মেনে কবিনামা রেজিস্ট্রার কর প্রায় পাঁচ লাখের বেশি টাকার মালামাল ও স্বর্ণালকারসহ পিতা রফিকুল ইসলাম যৌতুকলোভী প্রতারক স্বামী ইমরানের হাতে তাকে তুলে দেন। বিবাহের কয়েক মাস বেশ ভালো ভাবে কাটিয়ে দিলে ও পরবর্তীতে শুরু করে একের পর এক যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও নিপীড়ন। স্বামীর অত্যাচারে বেশ কয়েকবার পিতার নিকট হাত পেতে এনে ইমরানকে শান্ত করলেও। হঠাৎ করে মটরসাইকেল কেনার বায়না ধরে দুই লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলে এতে রাজি হয় না রহিমা। স্বামী ইমরানসহ তার পরিবারের সদস্যরা মিলে একেরপর এক নির্যাতন চালিয়ে যেতে শুরু করে। তাদের অত্যাচারে টিকতে না পেরে পিতার বাড়িতে চলে যার।
কিন্তু বেশ কিছু দিন সে বাড়িতে থাকলেও কোনো খোঁজ খবর নেয়নি মাঝে মধ্যে শুধু মটরসাইকেল কেনার টাকার জন্য ম্যাসেজ দিত নয়তো ফেরত আসতে না করত এভাবে কিছু দিন কাটলে পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় পুনরায় স্বামীর বাড়িতে ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে গত ২ মে আসার পথে বাড়ির সামনের রাস্তায় বসে স্বামী ইমরান তার দাবিকৃত যৌতুকের টাকা নিয়ে আসছে কিনা জানতে চায়। তখন না বলার সাঙ্গে সঙ্গে স্বামী ইমরান, ভাসুর, ননদ, জা, শ্বশুর, শাশুড়ি মিলে এক জোগে হামলা চালিয়ে তাকে গুরুত্বর জখম করে। রাস্তায় ফেলে রেখে যার এরপর নিরুপায় রহিমা বেগম বোনের সহায়তায় মেডিকেল এসে ভর্তি হয়।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে থানা অফিসার ইনচার্জ আলাউদ্দিন মিলন জানান এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি দ্রুত তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।