তাইওয়ানের কাছের এলাকাসহ এশিয়া অঞ্চলে চীন ক্রমেই আগ্রাসী হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। শনিবার তিনি বলেন, তা সত্ত্বেও চীনের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমন এবং সংঘাত এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সব পদক্ষেপ নেবে। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, এএফপি
সিঙ্গাপুরে এশিয়ার অন্যতম বড় নিরাপত্তা সমাবেশ ‘সাংরি-লা ডায়লগে’ রাখা বক্তব্যে লয়েড অস্টিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানসহ তার মিত্রদের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, ‘এটা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ পিআরসি (পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না) তার আঞ্চলিক দাবির জন্য আরও নিপীড়নমূলক এবং আগ্রাসী মনোভাব গ্রহণ করেছে।’ অস্টিন বলেন, অন্য দেশের সঙ্গে চীনের বিমান এবং জাহাজগুলোর মধ্যে অনিরাপদ এবং পেশাগতভাবে সংঘর্ষের সংখ্যা ‘উদ্বেগজনক’ভাবে বেড়েছে।
মে মাসে দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে একটি চীনা ফাইটার এয়ারক্র্যাফ্ট বিপজ্জনকভাবে একটি অস্ট্রেলিয়ান সামরিক নজরদারি বিমানকে বাধা দেয় এবং কানাডার সামরিক বাহিনী উত্তর কোরিয়ার নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি পর্যবেক্ষণ করার সময় চীনা যুদ্ধবিমানকে তার টহল বিমানকে হয়রানি করার অভিযোগ করেছে।
তাইওয়ান বছরের পর বছর ধরে তার আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে বারবার চীনা বিমান বাহিনীর অভিযানের অভিযোগ করেছে, যা আঞ্চলিক আকাশসীমা নয়, বরং একটি বিস্তৃত এলাকা যা হুমকি মোকাবিলায় পর্যবেক্ষণ করা হয়। অস্টিন বলে, সাম্প্রতিক মাসগুলোয় এই অনুপ্রবেশ বেড়েছে।
গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের বলে দাবি করে চীন। প্রয়োজনে ক্ষমতা প্রয়োগ করে হলেও দ্বীপাঞ্চলটিতে নিজেদের দখল বজায় রাখতে চায় তারা।
সাম্প্রতিক সময়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কে উত্তেজনা চলছে। দক্ষিণ চীন সাগরে দুই দেশের পাল্টাপাল্টি সামরিক কার্যকলাপ সমগ্র এশীয় অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। এরই মধ্যে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়েই ফেংহে এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। বৈঠকে উভয় পক্ষই পুনর্ব্যক্ত করেছে যে, তারা তাদের সম্পর্ক আরও ভালোভাবে পরিচালনা করতে চায়। যদিও এ সংক্রান্ত কোনো উদ্যোগের নজির বৈঠকটিতে দেখা যায়নি।