খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে ৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রেখে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, গত সোমবার বর্মাছড়ি ইউনিয়নের ১১টি স্কুলের ২৯জন শিক্ষক, দুল্যাতলী ইউনিয়নের ১৩টি স্কুলের ৫১জন শিক্ষক এবং গতকাল বুধবার লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নের ১৬টি স্কুলের ৭০জন শিক্ষক নিয়ে ক্লাস্টার প্রোগ্রামের নামে এই বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। গত দুই দিন ধরে বর্মাছড়ি ও দুল্যাতলী ইউনিয়নে এ প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হলেও বিষয়টি ছিল অনেকটা গোপন। কিন্তু বুধবার মংহলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই আয়োজন শুরু হলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।
সংবাদ পেয়ে এ প্রতিনিধি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে খোঁজ নিতে গেলে কাউকেই পাওয়া যায়নি। এসময় বর্মাছড়ির ফুত্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কেরেককাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কয়েক জন শিক্ষককে শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এসময় ফুত্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সুপায়ন চাকমা ও কেরেককাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অমর বিকাশ চাকমা বলেন, ‘স্কুল বন্ধ রেখে এধরনের বিশেষ প্রশিক্ষণ করার কোনো নীতিমালা আমাদের জানা নেই। তারা এর বেশি আর কিছুই বলতে চাননি।’
লক্ষ্মীছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার চাকমা বলেন, ‘আজ আমাদের স্কুল বন্ধ ছিল। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে একটি সমন্বয় সভায় অংশ নিয়েছিলাম। স্কুলের সাত জন শিক্ষক সবাই সেখানে গিয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শুভাশীষ বড়ুয়া বলেন, ‘নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা থেকেই শিক্ষার মান উন্নয়নে এই বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।’ সরকারি কোনো নির্দেশ ছাড়া স্কুল বন্ধ রেখে এ ধরনের কার্যক্রম করা যায় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুল বন্ধ না, পাঠদান বন্ধ রেখেছি, স্কুল খোলা ছিল অল্প সময়, ক্লাশ নিয়ে শিক্ষকরা প্রশিক্ষণে চলে এসেছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, ‘স্কুল বন্ধ রেখে এমন প্রশিক্ষণ আয়োজন হচ্ছে এটা আমার জানা নাই, তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’