পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং তার ছেলে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ঘুষ লেনদেনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে মন্তব্য করেছে পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত। সোমবার তাদের বিরুদ্ধে থাকা ১৬ বিলিয়ন রুপির মানি লন্ডারিং মামলার শুনানিতে এই কথা বলেছে আদালত।
লিখিত নির্দেশনায় উচ্চ আদালত ওই মামলায় তাদের আগাম জামিন দিয়ে বলেছে, ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) মামলায় জামিন পাওয়ার পরও ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন অ্যাজেন্সি (এফআইএ) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ ও মুখ্যমন্ত্রী হামজাকে গ্রেপ্তার করতে চায়। আর এর থেকেই প্রমাণ হয় যে, এফআইএ’র উদ্দেশ্য সৎ ছিল না। সোমবার এই খবর প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিওটিভি।
গত সপ্তাহে এই বিশেষ আদালতে এফআইএ’র দায়ের করা এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাদের আগাম জানিন মঞ্জুর করা হয়।
আদালতের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, উপহার গ্রহণ, দুর্নীতির চর্চা, ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ লেনদেন এবং কমিশন খাওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে যেহেতু পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তাই বিচার চলাকালীন আরও প্রমাণাদি দরকার।