কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ভোটের শেষ দিকে এসে বিতর্কের মুখে ইসি, তাদের চিঠি পেয়েও স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন সে চিঠির প্রতি সামান্য পরিমানও সম্মান না দেখিয়ে এলাকাতেই রয়ে যাওয়াটা স্পষ্ট নিয়ম ও আইন লংঘন। তাকে এলাকাতে ছাড়তে বাধ্য করার ক্ষমতা আইন ইসিকে দিয়েছে তার পরও ইসি সে ক্ষমতা প্রয়োগ করে ইসিও আইন অমান্য করেছে বলা যায়। বুধবার কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। সাবেক মেয়র ও বর্তমানে প্রার্থী মনিরুল হক বলেন
আমি লিখিত অভিযোগে দিয়েছি। সংসদ সদস্য নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রচার-প্রচারণা করতে পারে না, আর ওনারা (নির্বাচন কমিশন) তদন্ত করে সত্যতা পাওনের পর ওনারে (কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন) চিঠি দিছে। চিঠি পাওয়ার পরও উনি এলাকায় আছেন। এ ক্ষেত্রে সাংসদ যেমন আইন মানছেন না তেমনি ইসিও আইন প্রয়োগ করতে পারছে না, তবে উনি শুধু শুধু চিঠি দিলো কেন? ওনার এখানে থাকার কোন আইন যদি না থাকে তবে উনি এলাকাতে আসলেন কিভাবে?
নির্বাচন কমিশন তো প্রথমেই হোঁচট খেল। আমার কথা হল মাননীয় এমপি সাবের এলাকায় থাকার পক্ষে কোন আইন নাই বলেইতো চিঠি দেয়া হয়েছে, আর ইসির সেই এখতিয়ার আছে বলেই তো দিয়েছে। আমি সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলাম। আমি যে কাজগুলো করেছি, যেগুলো প্রয়োগ করছি, সেগুলো যদি না হয় তাইলে আমি ব্যর্থ না? উনি নতুন সিইসি, উনি তো প্রথমেই ধাক্কা খেল, উনি পারবে না। হতাশ হওয়ার কথা সিইসির। আমাদের হতাশার কী? এইটা (সংসদ সদস্যকে ইঙ্গিত করে) থাকলেও কী হবে, না থাকলেও কী? আমার ইলেকশন রান করতে হবে। কিন্তু আইন তো আমাদের সকলের জন্য সমান। আপনারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কন, তো এইটা লেভেল ফিল্ড?
এমপি সাবের (বাহাউদ্দিন) লোকজন তো ভালো না। সেলিম খান (১৪ নম্বর ওয়ার্ড) তিনবারের কাউন্সিলর। তাঁকে মেরেছ তাঁর ছেলেকেও মেরেছে। আবার ২২ নম্বরের কাউন্সিলর শাহ আলম মজুমদার, তাঁকেও মেরেছে। এগুলো কী ইঙ্গিত করে। প্রার্থীকে মারার পরে পুলিশ কিছুই বলে না তাদের। পুলিশ যদি অ্যাকশন নিতো তবেনা এলাকার জনগণ বা ভোটাররা আশ্বস্ত হতো। ঘটনা ঘটতেই পারে, কিন্তু ঘটনা প্রতিরোধের জন্য তো চেষ্টা করতে হবে। পুলিশ গেলো, কিন্তু কাউকে কিছু বল্লনা।