বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম অর্ধশত বছরেরও বেশি বয়স। ক্রিকেটের জন্য তৈরি করা হলেও এখন ফুটবল খেলাটাই বেশি হয়। তবে এই স্টেডিয়ামের আশপাশ দিয়ে যখন সাধারণ মানুষ চলাচল করেন তখন তাদের অনেকের মধ্যে একটা দীর্ঘশ্বাস ধ্বনিত হয়। একটা স্টেডিয়াম আর কত সংস্কার করা হবে। এপর্যন্ত কত শত কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে তার শেষ নেই। এখন চলছে ১০০ কোটি টাকার সংস্কার কাজ। খেলার জন্য এই স্টেডিয়াম সংস্কারের কথা বলা হলেও যে মাঠে খেলা হবে সেই মাঠই ক্রীড়া পরিষদের কাছে অবহেলিত। ১০০ কোটি টাকার সংস্কার কাজে মাঠ উন্নয়নে মাত্র ১২ লাখ টাকা বাজেট।
একটা স্টেডিয়ামে মাঠই হচ্ছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মাঠ ভালো না হলে খেলা সম্ভব না। মাঠে বৃষ্টি হলে দ্রুত পানি নেমে যাওয়া থেকে শুরু করে একটা মাঠ হতে হয় সবচেয়ে আধুনিক সুযোগসুবিধা সম্পন্ন। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, জাতির পিতার নামের এই স্টেডিয়ামটি আলাদা কদর পায় না। অগ্রাধিকার পায় না।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ১২ লাখ টাকার বাজেট দিয়ে অবশিষ্ট প্রয়োজনীয় টাকা বাফুফে হতে খরচ করতে বলা হয়েছে। স্টেডিয়াম উন্নয়ন প্রকল্পে শত কোটি টাকা খরচ করবে আর মাঠ উন্নয়ন করতে গিয়ে বাফুফের কাছে সাহায্য চাইবে। এটা দৃষ্টিকটু। প্রশ্ন হচ্ছে ১০০ কোটি টাকায় সংস্কার করতে গিয়ে আসল যে কাজ মাঠ উন্নয়ন করা, সেই মাঠই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নজরের বাইরে পড়ে গেল।
গতকাল বাফুফে এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. মহিউদ্দিন স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন সংস্কার কাজ পরিদর্শন করতে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব পরিমল সিংহ ছিলেন, বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ ছিলেন। সোহাগ জানিয়েছেন, তারা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে অবহিত করেন ১২ লাখ টাকায় মাঠ তৈরি করার জন্য বলা হয়েছিল, বাকি ৫-৭ লাখ টাকা বাফুফে হতে মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেটা করতে পারবে না বাফুফে। পুরোনো স্টেডিয়াম। বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণ করা হয়েছিল। বার বার এটিকে সংস্কার করা হয়। সংস্কার করতে গিয়ে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে তার সঙ্গে আর কিছু বাজেট যোগ করলে নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ করা যায় কি না, সেটা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ভেবে দেখলে বঙ্গবন্ধুর নামের স্টেডিয়ামটি ফুটবল উন্নত দেশের স্টেডিয়ামের সঙ্গে তুলনা করা যেত।