প্রথমবারের মতো দেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ‘জনশুমারি ও গৃহ গণনা’ শুরু হচ্ছে বুধবার (১৫ জুন) থেকে। এদিন সকাল আটটা থেকে সারাদেশের ঘরে ঘরে গণনা কার্যক্রমে যাবেন কর্মীরা। এক সপ্তাহ ধরে গণনা কার্যক্রম চলবে, শেষ হবে আগামী ২১ জুন। জরিপের প্রাথমিক প্রতিবেদন দেওয়া হবে আগামী তিন মাসের মধ্যে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনও যতটা সম্ভব দ্রুত দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এ
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, প্রথমবারের মতো এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণনা হচ্ছে। ফলে কেউ বাদ যাবে না। আবার কাউকে দুইবার গণনারও সুযোগ নেই। দেশবাসীকে গণনায় অংশ নেওয়া এবং সহযোগিতা করার জন্য ব্যাপক প্রচারপ্রচারণা চালানো হয়েছে। ফলে সফলভাবে জনশুমারির কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিবিএসের মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
তারা জানান, সারাদেশে একযোগে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন গণনাকারী ট্যাবের (কম্পিউটার) সাহায্যে সাত দিন ধরে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে এ শুমারি পরিচালনা করবেন। এতে প্রতিটি ব্যক্তিকে ৩৫টি তথ্য দিতে হবে।
ডিজিটাল এ শুমারিতে প্রায় ৪ লাখ ট্যাব ব্যবহার করা হচ্ছে। এবারের শুমারিতে ৬৩ হাজার ৫৪৮ জন সুপারভাইজার, ৩ হাজার ৭৭৯ জন আইটি সুপারভাইজার, তিন হাজার ৭৭৯ জন জোনাল অফিসার, ১৬৩ জন জেলা শুমারি সমন্বয়কারী এবং ১২ জন বিভাগীয় শুমারি সমন্বয়কারীর মাধ্যমে শুমারিটি সম্পন্ন করা হবে।
এবারের শুমারিতে দেশের প্রতিটি খানা ও খানার সদস্যদের গণনা করে মোট জনসংখ্যা ও দেশের সব বসতঘর বা বাসগৃহের সংখ্যা নিরূপণ করা হবে।প্রসঙ্গত, জনশুমারি আগে আদমশুমারি নামে পরিচিত ছিল। সর্বশেষ পঞ্চম শুমারি হয়েছিল ২০১১ সালে। প্রতি ১০ বছর অন্তর এ শুমারি হওয়ার কথা থাকলেও মহামারীর কারণে গত বছর তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।