আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসরে ১১ বার পদক জয় করেও তার ভাগ্যে দেশের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার জোটেনি। তিন বার আবেদন করেও পুরস্কারসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নজরে আসেননি দেশের নারী তারকা কাবাডি খেলোয়াড় শাহনাজ পারভীন মালেকা। এশিয়ান গেমসে দুটি, এসএ গেমসে চারটি পদক জয় করেছেন মালেকা। অন্যান্য পদক মিলিয়ে তার গলায় পদকের সংখ্যা ১১। এই নারী ক্রীড়াবিদ মালেকা জানালেন, ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় এসএ গেমস কাবাডিতে ব্রোঞ্জ, ২০১০ এসএ গেমসে রৌপ্য, ২০১৬ এসএ গেমসে ব্রোঞ্জ, ২০১৯ এসএ গেমসে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছেন। দুটি এশিয়ান গেমস কাবাডিতেও রয়েছে পদক। ২০১০ চীনের গুয়াংজু এশিয়ান গেমস এবং ২০১৪ দক্ষিণ কোরিয়ায় ইনচন এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ জয় করেছেন মালেকা।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বর্তমানে যেসব নারী ক্রীড়াবিদ রয়েছেন, মালেকা তাদের মধ্যে শুধু সেরাই নন, বিচার-বিশ্লেষণেও অনেক দিক থেকেই এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গেমস কাবাডিতেও মালেকা পদক জয় করেছেন। দেশের জন্য গৌরব এনে দিয়েছেন। ২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধু আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টে স্বর্ণ, ২০১০ সালে ওমানের মাসকটে ব্রোঞ্জ, ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায় ব্রোঞ্জ, ২০১২ সালে চীনে ব্রোঞ্জ। কাবাডির পাশাপাশি হ্যান্ডবল খেলেছেন শাহনাজ পারভীন মালেকা। ২০০৮ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়া হ্যান্ডবলে রৌপ্য পদক জয় করেছেন তিনি। কাবাডি বিশ্বকাপে অধিনায়ক ছিলেন মালেকা। জাতীয় কাবাডি দলে খেলেছেন ২০০৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত। আর ২০০৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জাতীয় কাবাডি দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। কাবাডি, হ্যান্ডবল খেলে ফুটবলেও পা রেখেছিলেন মালকো। ২০০৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলে খেলেছেন।
মালেকার গলায় পদকের মালা। সবই আন্তর্জাতিক ক্রীড়া পদক। তার পরও যারা দেশের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য আবেদন বাছাই করেন, তাদের চোখেই পড়ে না মালেকার সাফল্য। এমনও আছেন, আন্তর্জাতিক সাফল্য নেই, অথচ রাষ্ট্রীয় ক্রীড়া পুরস্কার আছে মুঠোয়। যত্সামান্য খেলে যতটা না প্রচার পেয়েছেন, তাকে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার দিয়ে তার জীবনটাকে সফল করে দেওয়া হয়েছে। অথচ যারা প্রাপ্য, তাদের অনেকেই আড়ালে পড়ে থাকেন। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়ার আবেদনটা কলমের এক খোঁচায় বাতিল করে দেন। এমন চলতে থাকলে শাহনাজ পারভীন মালেকার মতো বহুমুখী প্রতিভার ক্রীড়াবিদেরা রাষ্ট্রের সম্মান পাবেন কবে।