দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তপশিল চূড়ান্ত করতে আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক আহ্বান করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সকাল ১১টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এই কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। কমিশন সভা শেষে তপশিল ঘোষণা করবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। রাষ্ট্রপতি পদে ভোট হতে পারে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি। তবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ যাকে মনোনয়ন দেবেন, তিনিই হবেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি।
তপশিল ঘোষণার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বুধবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সিইসি। স্পিকারের সঙ্গে আধঘণ্টার কিছু বেশি সময় বৈঠক করেন সিইসি। এ সময় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুস সালাম ও নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১ বিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগে স্পিকারের সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতের বিধান রয়েছে। সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন সংসদের বৈঠক নিশ্চিতকরণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আইনের ৫ ধারা অনুসারে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য তপশিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
স্পিকারের সঙ্গে বৈঠকের পর সিইসি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে আইনের একটি বিধান আছে। তপশিল ঘোষণার আগে স্পিকারের সঙ্গে কমিশনকে সাক্ষাৎ করতে হবে। সেই সাক্ষাতের জন্য আমরা গিয়েছিলাম। স্পিকারের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ হয়েছে। সেখানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করেছি।’ অচিরেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘বুধবার বেলা ১১টায় কমিশন সভা করে তপশিলটা উন্মুক্ত করব। তখন আপনারা সব জানতে পারবেন।’ ছয়টি আসন শূন্য রেখে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। ছয়টি আসন বা ১০০টি আসন কোনো বিষয় নয়। বর্তমানে যারা বিদ্যমান জাতীয় সংসদ সদস্য, তাদের পাঁচ জন বিদেশে থাকতে পারে, সেটা নির্বাচনে কোনো হ্যাম্পার করবে না।