কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগেই জানতাম এ নির্বাচনে এমন ফল হবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফখরুল বলেন, বিএনপির গণতন্ত্রের আন্দোলনে যাওয়ার ব্যাপারে প্রস্তুতির কোন ঘাটতি নেই। আমাদের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে। যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তার চূড়ান্ত রূপ দিতে হবে। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমরা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করব।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার মানেই হচ্ছে তাদের আরও বৈধতা দেয়া। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা বহু আগে থেকেই জানি ফলাফল কি হবে। যে কারণে খুব পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি না।
ফখরুল বলেন, ১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস। কারণ, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীতে সরকার ৪টি সংবাদপত্র রেখে সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে সাংবাদিকরা এই দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করছে। দেশে এক যুগ ধরে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এই দুইটাকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন করা যায় না, এটা মুদ্রার এপিট আর ওপিট। সেজন্য গণতন্ত্র না থাকলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আমরা কিভাবে পেতে পারি ?
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ফেরানোর যে আন্দোলন শুরু হয়েছে সেই আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দিতে হবে। আমাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে অবস্থান করছেন নির্বাসিত, আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা- এতকিছুর পরও আমরা থেমে নেই, আমরা কাজ করছি। চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার এবং দেশকে মুক্ত করার ব্যাপারে আমাদের আগ্রহের কোন ঘাটতি নেই। নিঃসন্দেহে আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমরা দেশের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাব গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।
বিএফইউজের (একাংশ) সভাপতি এম আবদুল্লার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজের(একাংশ) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, কায়কোবাদ মিলন, আবদুল আউয়াল ঠাকুর, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বাকের হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ।