আবারো উদ্ধার হলো স্থানীয় বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে বহন করা অপদ্রব্য পুশকৃত বিপুল পরিমান চিংড়ি। এসময় তৃতীয় বারের মত একই অপরাধ করায় তিনজনকে তিন মাসের এবং চার জনকে এক মাসের কারা দ-াদেশ দেয়া হয়।
দ-াদেশ প্রদানকারীরা হলেন, সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার মৃত: নুরুল ইসলামের ছেলে মো: আরশাদ আলী(৪২), নূর ইসলাম গাজীর ছেলে মো: আলামিন ইসলাম(২৮), সাতক্ষীরা সদর থানাধীন মো: আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ইউনুস সর্দার(২৬), মো: শহিদ গাজীর ছেলে মো: জামিনুর রহমান, মো: হাসান আলীর ছেলে মো: রিপন হোসেন, আজহারুল ইসলামের ছেলে জহুরুল ইসলাম এবং মো: শহিদুল ইসলামের ছেলে মো: জসিম বিশ^াস।
রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া তাছনিম এ দ-াদেশ প্রদান করেন। সোমবার রাত আটটা থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চলে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সহায়তায় মৎস্য অধিদপ্তরের মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের এ অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস্ এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস. হুমায়ুন কবির, মৎস্য অধিদপ্তরের মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার এ বি এম জাকারিয়, পরিদর্শক মাসুদুর রহমান, রূপসা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বাপি কুমার দাশ। দেড় রাত ও একদিনের এ অভিযান শেষে দু’টি ট্রাক থেকে মোট ১৯৭ ক্যারেট পুশকৃত চিংড়ি উদ্ধার করা হয়। এসময় একই অপরাধ পুনরায় করায় সাব্বির ট্রান্সপোর্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দু’লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস্ এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন, মৎস্য অধিদপ্তর ও অভিযানে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।
এসময় পুশকৃত চিংড়িগুলো বিনষ্ট করা হলেও পুশবিহীন মাছগুলো চার লাখ ২৪ হাজার টাকায় নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয় বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।