ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশ জানিয়েছে, ব্রিটিশ সাংবাদিক ডোম ফিলিপসের দেহাবশেষ শনাক্ত করা হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসের শুরুর দিকে দেশটির আমাজন রেইনফরেস্টের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্রাজিলিয়ান আদিবাসী বিশেষজ্ঞ ব্রুনো পেরেইরার সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ডোম ফিলিপসের মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে কাজ চলছে।
আরেকজনের দেহাবশেষ এখনো বিশ্লেষণ চলছে।পুলিশের ধারণা, আদিবাসী বিশেষজ্ঞ ব্রুনো পেরেইরার দেহ সেটি।
পেরেইরা এবং ফিলিপস গত ৫ জুন পেরু এবং কলম্বিয়ার সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত জাভারি উপত্যকায় নিখোঁজ হন। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে পুলিশ জঙ্গলের একটি কবর থেকে মানবদেহাবশেষ উদ্ধার করেছিল। আমারিল্ডো দ্য কস্তা ডি অলিভেইরা নামের ওই ব্যক্তি তদন্তকারীদের এমন এক স্থানে নিয়ে গেছেন, যেখানে মানুষের দেহের অংশ পাওয়া গেছে।
আমারিল্ডো দ্য কস্তা ডি অলিভেইরার দুই ভাইকেও হত্যার সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে আটক করা হয়েছে।
এর আগে গোয়েন্দা কর্মকর্তা এডওয়ার্ড ফন্টেস সাংবাদিকদের বলেছেন, আমারিল্ডো নিজের অপরাধের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। এমনকি হত্যার পর মরদেহ কোথায় পুঁতে রেখেছিলেন সেই জায়গাও দেখিয়েছেন। তবে তার দুই ভাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ডোম ফিলিপসের দেহাবশেষ আমারিল্ডো দ্য কস্তা অলিভেইরার দ্বারা নির্দেশিত স্থানে সংগ্রহ করা উপাদানের অংশ ছিল।
ফিলিপস একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ছিলেন। দ্য গার্ডিয়ান এবং দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের জন্য লিখতেন তিনি। ফেডারেল আদিবাসী বিষয়ক সংস্থা ফুনাইয়ের বিচ্ছিন্ন এবং সম্প্রতি যোগাযোগ করা উপজাতিদের সাবেক প্রধান পেরেইরার সঙ্গে ভ্রমণের একটি বইয়ের জন্য গবেষণা করছিলেন তিনি।
পুলিশের দাবি, তদন্ত ইঙ্গিত করছে, খুনিরা নিজেরাই হত্যা করেছে। অপরাধের পেছনে কোনো বস বা অপরাধী সংগঠন নেই।স্থানীয় আদিবাসী গোষ্ঠী ইউনিভাজা নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনুসন্ধানে বেশ সহায়তা করেছে। তারা বলেছে, ২০২১ সালের শেষের দিক থেকে বহুবার ফেডারেল পুলিশকে জানানো হয়েছে যে জাভারি উপত্যকায় সংগঠিত অপরাধচক্র কাজ করছে।