কী দিয়ে শুরু করবো? পরিস্থিতি দেখে মনে হলো, পিকে হালদার এবং তার বান্ধবীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা উচিত। কেন? সে কথায় পরে আসছি। এরই মধ্যে খবর পাওয়া গেল সুইস ব্যাংকে টাকা জমার ক্ষেত্রে রীতিমতো রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশিরা! কে বলে আমরা পিছিয়ে আছি! এসব প্রসঙ্গ আলোচনার আগে অর্থমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন থেকে একটু ঘুরে আসি। আ হ ম মুস্তফা কামাল। লোটাস কামাল হিসেবেই পরিচিত। ছোটবেলা ছিল সংগ্রাম মুখর। অভাবনীয় প্রতিভা আর প্রচেষ্টা তাকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছে। অতীত নিয়ে কথা বলতে কখনো কুণ্ঠিত হন না। এমনিতেও টিভি পর্দায় তার কথা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনি। ভালো লাগে।রাখডাক নেই। দেখে মনে হয়, যা মনে আছে তাই বলছেন। বাজেটের পরদিন সংবাদ সম্মেলন অনেকটাই রীতি। নানা প্রশ্নের খোলামেলা জবাব দেন অর্থমন্ত্রীরা। এবার দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনে মুস্তফা কামালের বলা কিছু কথা নিয়ে ব্যাপক চর্চা চলছে ফেসবুকে। বিশেষত টাকার ধর্মের কথাটি বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। অর্থমন্ত্রীর ভাষ্য- টাকার একটা ধর্ম আছে, বৈশিষ্ট্য আছে। যেখানে রিটার্ন বেশি সেখানে চলে যায়। পাচার হয়ে যাওয়া টাকা কর দিয়ে দেশে আনার সুযোগ দেয়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই মন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী ১৫ থেকে ৭ শতাংশ কর দিয়ে বিদেশে থাকা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি দেশে আনা যাবে। ওই আয়ের উৎস জানতে চাওয়া হবে না। এর সমালোচনা চলছে নানা মহল থেকে। সংসদে এবং বাইরে। সংবাদ সম্মেলনেও এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তার জবাব দেন অর্থমন্ত্রী। তার ভাষ্য, ‘যারা নিয়ে গেছেন অপরাধ না জেনে, বুঝতেই পারেননি, না বুঝেই নিয়ে গেছেন। সে জন্যই তো হোয়াইট করার জন্য সেগুলোকে আমাদের অর্থনীতির মূলধারায় আনতে এ কাজটি করা হবে।’ (সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)। মন্ত্রী আরও বলেন, যেটা পাচার হয়ে গেছে সেটা এদেশের মানুষের হক। যদি বাধা দিই তবে আসবে না। যদি না আসে আমাদের লাভটা কী? আমরা চাই, অন্য দেশ যা করে, আমরা তাই করতে যাচ্ছি। ১৭টা দেশ অ্যামনেস্টি দিয়ে টাকা ফেরত আনছে।’ এখানে মাননীয় মন্ত্রীর একটি বক্তব্য সত্যিই বিস্ময়কর। অর্থ পাচারকারীরা কি তাহলে শিশু, অবুঝ? কিচ্ছু বোঝে না! না বুঝেই তারা টাকা নিয়ে গেছেন? এ তো রীতিমতো অবিশ্বাস্য! আরও অবিশ্বাস্য- তাহলে এমন অবুঝ অনেক লোকের বিরুদ্ধেই কি আমরা মামলা দায়ের করেছি! শাস্তির মুখোমুখি করেছি!অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অনড়। অর্ধেক পথ থেকে নাকি তিনি ফিরেন না। কিন্তু তার এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা হচ্ছে প্রায় সর্বত্র। অর্থনীতিবিদ সেলিম রায়হান এটিকে দেখছেন টাকা পাচারের এক ধরনের স্বীকৃতি হিসেবে। সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, এ প্রস্তাব নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়, অর্থনৈতিকভাবে যৌক্তিক নয় এবং রাজনৈতিকভাবেও জনগণের কাছে উপস্থাপনযোগ্য নয়। (সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)। পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগকে বেআইনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। তিনি বলেন, ৭ শতাংশ কর পরিশোধের মাধ্যমে পাচার করা টাকা ফেরত আনার প্রস্তাব অনৈতিক ও বেআইনি। মুদ্রা পাচারকারী দেশদ্রোহীদের অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার যে সুযোগ দেয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। অর্থমন্ত্রীকে এই বাস্তবতা অনুধাবন করতে হবে। গত শনিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থনীতিবিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন প্রথমত, এ পদক্ষেপ কোনোদিন সমর্থন করি না। কারণ, এটা অনৈতিক পদক্ষেপ। এখন যারা বৈধভাবে অর্থ উপার্জন করছে, তাদের যে কর দিতে হয়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনলে এর চেয়ে কর কম দিতে হবে। বাজেটে কার্যত অর্থ পাচারকে উৎসাহিত করা হয়েছে।টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘সরকার যেভাবে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে চাইছে তা অনৈতিক, বেআইনি, দুর্নীতি সহায়ক এবং বৈষম্যমূলক।’ পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান একই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত ধারণা টাকা ফেরত আনা কঠিন হবে। টাকাতো হাতছাড়া হয়ে গেছে, দেশের টাকা বিদেশে চলে গেছে, সরকার ট্যাক্স পায়নি। সরকার তো নিরুপায়। অসহায় বলব না, মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে। তাই একটি সুযোগ দিয়ে দেখা যদি কিছু ফেরত আসে। বড়শি যখন আমরা পানিতে ফেলি তখন আশা করি মাছ ধরবে। তা না হলে আমরা বড়শি ফেলব কেন?’ সরকারি এ সিদ্ধান্তের আইনি দিক নিয়ে সম্প্রতি এক সন্ধ্যায় বিস্তারিত আলাপ হয় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনিরের সঙ্গে। আলোচিত এই আইনজীবী বলেন, মানি লন্ডারিং আইনটার উদ্দেশ্য কী? এর প্রধান উদ্দেশ্য সাজা দেয়া নয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্থ উদ্ধার। এ আইনে সর্বনিম্ন সাজা ৪ বছর আর সর্বোচ্চ ১২ বছর। এখানে মৃত্যুদণ্ড কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো কোনো শাস্তির বিধান রাখা হয়নি। বরং জরিমানার ওপর জোর দেয়া হয়েছে বেশি। কিন্তু আমাদের দেশে মানি লন্ডারিং আইনটা সেভাবে কাজ করেনি। যে কারণে সরকারের সামনে এ ধরনের একটি সুযোগ দেয়া ছাড়া বিকল্প ছিল না। পৃথিবীর অনেক দেশেই এ ধরনের নজির আছে। এখন দেখার বিষয় এ ‘সাধারণ ক্ষমা’ কাজ করে কি-না? কিন্তু এক্ষেত্রেও একটি বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে। টাকা পাচারের অভিযোগে ইতিমধ্যে যাদের সাজা হয়েছে কিংবা যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা কি প্রশ্ন তুলতে পারেন? তারা কি বলতে পারেন, আমরাও কর পরিশোধ করে দেশে টাকা নিয়ে আসবো। আমাদের মাফ করে দাও। এ প্রসঙ্গে বহুল আলোচিত পিকে হালদার এবং তার বান্ধবীদের কথা বলা যেতে পারে। যারা মানি লন্ডারিংয়ে অভিযুক্ত। এ প্রসঙ্গে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন, মানি লন্ডারিং শুধু বিদেশে হয় না। দেশের ভেতরেও হতে পারে। পিকে হালদার তার কয়েকজন বান্ধবীর কাছেও বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার করেছেন। কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়া এই হালদার গত ১৪ই মে ভারতে গ্রেপ্তার হন। সেখানেও তার কয়েকশ’ কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। তার নাম উল্লেখ না করে সিপিডির ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ‘কিছুদিন আগেও বহুল আলোচিত একটি কেইস সম্পর্কে আপনারা ভালো জানেন। সেই ঘটনা নিয়ে যদি তখন আলোচনা না হয়ে এখন আলোচনা হতো, তাহলে দেখা যেত যে তার কোনো অপরাধই হয়নি। তিনি বাইরে যে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার মত নিয়ে গেছেন, সেটা তিনি ডিক্লেয়ার করে ৭, ১০ বা ১৫ শতাংশ দিয়ে টাকাকে বৈধ করে দেশে আসতে পারতেন। এই ধরনের সুযোগ আমাদের নীতি এবং নৈতিকতার সঙ্গে খাপ খায় না।’ তবে এখানে একটি বিষয় খোলাসা করা দরকার, যারা দেশে কোন ব্যাংক বা ব্যক্তির টাকা তসরুফ করেছেন তাদের ওই অর্থের ক্ষেত্রে বাজেটের বিধান প্রযোজ্য হবে না বলেই আইনজ্ঞদের মত। পিকে হালদারের মতো ব্যক্তিরা কি বাজেটে সুযোগ দানের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। তারা কি বলতে পারেন আমরাও এই সুযোগ চাই। আইনবিদদের মত হলো বাজেটে যে সুযোগ দেয়া হয়েছে এটি পলিসি ম্যাটার। আদালতে পলিসি ম্যাটার চ্যালেঞ্জ করা যায় না। আইনজীবী শিশির মনিরেরও একই মত। তবে তিনি এটাও বলেন, এখন যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে কিংবা যাদের ইতিমধ্যে সাজা হয়ে গেছে তারা বৈষম্যের প্রশ্ন তুলতে পারেন। বিশেষত মামলা বিচারাধীন আছে এমন কেউ এসে যদি বলে আমি নির্ধারিত কর দিয়ে দায়মুক্তি চাই! এক্ষেত্রে হাইকোর্টে রিট হলে ইন্টারেস্টিং আলোচনা হতে পারে।
বেগমপাড়া এবং সুইস ব্যাংক
বেগমপাড়া, সুইস ব্যাংক এবং অর্থ পাচার এ বিষয়গুলো সাম্প্রতিক অতীতে বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচিত। গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে শুধু বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে চার হাজার ৯৬৫ কোটি ডলার বা সোয়া চার লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে কালো টাকার পরিমাণের একটি হিসাব দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশে এখন কালো টাকার পরিমাণ ৮৮ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা। তাদের হিসেবে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে মোট আট লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। অর্থ পাচারকারীদের সাধারণ ক্ষমা নিয়ে যখন বিপুল আলোচনা তখন শুক্রবারের পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, সুইস ব্যাংকে টাকা জমানোর ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশিরা। মানবজমিনের এ সংক্রান্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগের বছরের চেয়ে সুইস ব্যাংকে রেকর্ড পরিমাণ আমানত বেড়েছে বাংলাদেশিদের। মাত্র ১২ মাসে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ জমা করেছেন তারা। সব মিলিয়ে সুইস ব্যাংকগুলোতে এখন বাংলাদেশিদের টাকার পরিমাণ ৮ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা, যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। বেগমপাড়া। নামটির শুরু কানাডা থেকে। সম্প্রতি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও বিতর্ক হয়েছে এ নিয়ে। অভিযোগ ওঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুকে নিয়ে। বলা হয়, তার বাড়ি রয়েছে কানাডায়। তিনি অবশ্য সে অভিযোগ অস্বীকার করেন।
যদিও এটাও উল্লেখ করেন, কারও বৈধ টাকা থাকলে সে চাঁদেও বাড়ি কিনতে পারে। কানাডার বেগমপাড়া নিয়ে আলোচনা দীর্ঘদিন থেকেই। বলা হয়, বাংলাদেশের অনেক রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ী কানাডায় পাচার করেছেন টাকা। তাদের স্ত্রী-সন্তানদেরও পাঠিয়ে দিয়েছেন সেখানে। আর তাদের নিয়েই গড়ে উঠেছে বেগমপাড়া। তবে বেগমপাড়া বলতে সেখানে আসলে নির্দিষ্ট কোনো এলাকা নেই। বছর দুয়েক আগে সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এই বেগমপাড়া আসলে কানাডায় পাড়ি জমানো দুর্নীতিগ্রস্তদের স্ত্রীদের নিবাস অর্থে ব্যবহৃত হয়। বাস্তবে এমন কোনো সুনির্দিষ্ট এলাকা নেই, যেটিকে বেগমপাড়া বলা হয়।’ এখন প্রশ্ন হলো ‘বেগমপাড়া’ কি শুধু কানাডায়? আসলে তা নয়। দুর্নীতিগ্রস্ত বাংলাদেশিদের এই বেগমপাড়া এখন ছড়িয়ে পড়েছে অনেক দেশেই। কিছু আলোচনায় আসছে, কিছু আসছে না। আইনের ফাঁক-ফোকর গলিয়ে কিংবা ভিন্ন পথে অনেকেই অর্থ পাচার করছেন। সম্প্রতি দুবাইয়ের নাম আলোচিত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া, পৃথিবীর নানা দেশে নানা উপায়ে অর্থপাচার হচ্ছে। আইনের হাত নাকি লম্বা? কিন্তু সত্য হলো- এদের ক্ষেত্রে আইনের হাত ছোট। আইন তাদেরকে স্পর্শ করতে পারে না। মুখোমুখি করতে পারে না বিচারের। তারচেয়েও বড় বিষয় ফেরত আনতে পারে না দেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া টাকা।
বেগমপাড়ায় বসতি গড়ছেন কারা? সুইস ব্যাংকে টাকা জমানোর রেকর্ড কাদের? রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ী? এ নিয়ে অনুসন্ধান খুব বেশি হয়নি। তবে ধারণা করা যায় সহজেই। কৃষক বা সাধারণ মধ্যবিত্ত, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এ তালিকায় নেই। উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়া বৈষম্য আর দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জীবন তাদের জর্জরিত। নুন, তেলের হিসাবই মেলে না। আবার টাকা পাচার!
নোট: একটা কঠিন সময় পার করছে মানুষ। দেশে দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয়। ধারণা করা যায়, সংকট এড়াতেই অর্থ পাচারকারীদের একটা সুযোগ দেয়া হয়েছে। তারা অবুঝ নন, সেটা সবাই বোঝেন। তারা কি ফরাসউদ্দিনের কথা অনুযায়ী, রাষ্ট্রদ্রোহী। তার চেয়েও বড় প্রশ্ন তারা কি ধর্মের কাহিনী শুনবেন। সংসদেই শাসক দলের সংসদ সদস্য, খ্যাতিমান চিকিৎসক প্রাণ গোপাল দত্ত বলেছেন, চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী।