সৈকতে পরিকল্পনা মাফিক বেড়ানোর সময়টা বৃষ্টির বাগড়ায় মাঝেমধ্যে এলোমেলো হয়ে গেলেও চমৎকার নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া এখনও হাজার হাজার পর্যটককে কাছে টানছে দেশের প্রধান অবকাশযাপন কেন্দ্র কক্সবাজার। একদিকে সাগরের উষ্ণ নোনা জল, অন্যদিকে বৃষ্টির শীতল-স্বাদু জলে শরীর ভিজিয়ে স্নানের আনন্দ লুটছেন পর্যটকেরা। তাই তো গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে বৃষ্টির মাঝেও কক্সবাজারে অবকাশ যাপনে এসেছেন অন্তত ৩০বিচ কর্মীরা জানান, শুক্রবার দিনভর বৃষ্টির মাঝেও উচ্ছ্বাসের কমতি দেখা যায়নি পর্যটকদের মাঝে। সকাল থেকেই হাজারো পর্যটক বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে সৈকতে বেড়িয়েছেন। কেউবা সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে জলকেলিতে মেতেছেন। অনেকেই বৃষ্টি থামলে সৈকতে নেমেছেন, আবার বৃষ্টির তাড়ায় সাগর তীরের দোকানপাটে আশ্রয় নিয়েছেন। এমনই লুকোচুরির মাঝে সাগরপাড় ছিল পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত।
গতকাল ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা ইশতিয়াক আহমদ ও রুমানা আহমদ বলেন, বৃষ্টির মাঝে আমরা এক অসাধারণ কক্সবাজারকে উপভোগ করেছি। কিন্তু ছুটি নিয়ে না আসায় রোববার সকালের ফ্লাইটেই ফিরে যেতে হবে। তাই আশা রাখছি, এই বৃষ্টির মাঝে আবারো আমরা কক্সবাজারে আসব। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান জানান, শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সবসময় কক্সবাজার শহর ও সমুদ্র সৈকতে চব্বিশ ঘণ্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। তাই কক্সবাজারে বেড়াতে আসার জন্য বছরের যেকোনো সময় বেছে নেয়া যায়। তবে বর্ষায় বেড়ানোর মজা আলাদা।
এদিকে গতকাল শহরের তারকা হোটেলগুলোর প্রায় অর্ধেক এবং অন্যান্য হোটেলগুলোর প্রায় এক তৃতীয়াংশ কক্ষ বুকিং হয়েছে বলে জানান ট্যুরিজম সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার। তিনি জানান, এখন সকল ধরনের হোটেলে কক্ষভাড়ার উপর ৫০% থেকে ৬০% ভাগ রেয়াত দেয়া হয়েছে। ফলে একদিনের খরচে এখানে দুইদিন বেড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন পর্যটকেরা। আর এই সুযোগ আসছে ঈদুল আজহার আগের দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টোয়াক বাংলাদেশ) প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি এসএম কিবরিয়া খান জানান, বৃষ্টি ও মেঘলা থাকায় কক্সবাজারের আবহাওয়া এখন নাতিশীতোষ্ণ। সাগরের ঢেউগুলোও অনেক বড় বড়। তাই প্রকৃত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য কক্সবাজারে বেড়ানোর এখনই উপযুক্ত সময়।