আগামীতে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান মৃত্যুবরণ করলে পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে জাতীয় সংসদ ভবন বা এর আশপাশের বিশেষ এলাকায় তাদের সমাধিস্থ করার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
রবিবার (১৯ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে জাতীয় পার্টির এমপি ফখরুল ইমামের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এর আগে ফখরুল ইমাম প্রশ্ন করেন, আগামীতে সকল রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান মৃত্যুবরণ করিলে, তাঁহাদের সম্মানে জাতীয় সংসদ ভবন বা ইহার আশপাশের বিশেষ এলাকায় দাফন করা হবে কিনা? এসময় স্পিকার ড. শিরীন শঅরমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্থপতি প্রফেসর লুই আইকান এর মাস্টার প্ল্যান নকশা অনুসারে বাণিজ্য মেলার মাঠে বাংলাদেশ সচিবালয়ের নকশা স্থাপত্য অধিদপ্তরের বাস্তবতার নিরিখে বর্তমানস্থিত সাইটের সাথে নকশার সমন্বয় করা হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী কার্যক্রম নেয়া হবে।
দুর্নীতি না ঠেকানো গেলে বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার মত পরিস্থিতি হবে কিনা ফখরুল ইমামের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, শ্রীলংকার পরিস্থিতি বাংলাদেশে হওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে স্বচ্ছতা ৩ জবাবদিহিতা অধিকতর বৃদ্ধি পাবে, দুর্নীতি হ্রাস পাবে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। তথ্য অধিকার আইনের এ উদ্দেশ্য পুরণকল্পে সরকার ইতোমধ্যে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তথ্য অধিকার সংক্রান্ত কমিটি গঠন করেছে এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে পরিবীক্ষণ কমিটি গঠনের পরিকল্পনা সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। সুতরাং শ্রীলংকার পরিস্থিতি বাংলাদেশে হওয়ার সুযোগ নেই।