দেশে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ব্যাপক আয়োজনের কঠোর সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, পদ্মা সেতুর উৎসবে আতশবাজি আর চোখ ঝলসানো আলোর যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তা জনগণের সঙ্গে এক ধরনের রসিকতা।
রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসবের নামে শত শত কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে। অথচ সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, উত্তরাঞ্চলসহ দেশে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় প্রায় ১ কোটি পানিবন্দি মানুষের সাহায্যের জন্য সরকারি বরাদ্দ একেবারেই অপ্রতুল। বন্যার্তদের জন্য সরকার একশ টন চাল, ৩০ লাখ টাকা আর পাঁচ হাজার টাকার শুকনা খাবার দিয়েছে। এ পর্যন্ত তারা বরাদ্দের আশ্বাস দিয়েছে ৬০ লাখ টাকা। এর মানে জনপ্রতি দেড় টাকা। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জনসভাস্থলে অস্থায়ী ৫০০ টয়লেট স্থাপন করতে যে খরচ হবে এর ১০ ভাগের এক ভাগও বরাদ্দ পায়নি বন্যার্তরা।পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী উৎসব বন্ধের দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে উৎসব বন্ধ করুন। এই লোক দেখানো ফুটানি বন্ধ করুন। আমরা দাবি করছি, বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলোকে দুর্গত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হোক এবং কোনো বিলম্ব ছাড়া এ অঞ্চলের জনগণের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হোক। বন্যাকবলিত অঞ্চলে বিএনপির কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজ নিজ জেলার নেতাদের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে বন্যাদুর্গতদের সাহায্যার্থে কাজ করে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু, সাইফুল আলম নীরব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।