ডিডাব্লিউয়ের সাংবাদিকের কাছে এমনই তথ্য দিয়েছেন ইউক্রেনের এক কম্যান্ডার। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের জন্য আরও বেশি গুলি তৈরি করতে হবে ন্যাটোর দেশগুলোকে। কারণ, যে পরিমাণ গুলি তৈরি করা হচ্ছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ইউক্রেন ব্যবহার করছে। চাহিদা বাড়ছে কিন্তু জোগান দেওয়া যাচ্ছে না।
সাংবাদিকদের একথা জানিয়ে স্টলটেনবার্গ বলেছেন, প্রতিটি দেশই আরো বেশি গুলি তৈরির দিকে মন দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ন্যাটো ইউক্রেনের পাশে থাকবে। ইউক্রেনের যত পরিমাণ গুলি প্রয়োজন হবে, ন্যাটো তার জোগান দেবে।
এদিকে ইউক্রেনে লড়াইয়ের ময়দানে এক হাউইৎজারের কম্যান্ডার ডিডাব্লিউয়ের সাংবাদিকে জানিয়েছেন, লড়াই চালিয়ে যাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। কারণ, গুলির পরিমাণ ক্রমশ কমে আসছে। খুব হিসেব করে তা খরচ করতে হচ্ছে। রাশিয়া উল্টোদিক থেকে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।
ওই কম্যান্ডার জানিয়েছেন, সুদূর পাকিস্তান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে গুলি আনা হচ্ছে বলে তারা শুনেছেন। পাকিস্তানের কাছে সোভিয়েতের তৈরি গুলি আছে বলে তাদের জানানো হয়েছে। সেই গুলি ইউক্রেন ব্যবহার করবে বলে ওই কম্যান্ডার জানিয়েছেন।
যদিও এ বিষয়ে ইউক্রেনের আর কোনো প্রশাসক কোনো মন্তব্য করেননি। যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়া থেকেও গুলি নিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন ওই কম্যান্ডার। এদিকে ডোনেটস্ক অঞ্চলের বাখমুটে ব্যাপক লড়াই শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়া।
তবে দুই পক্ষের বক্তব্যের মধ্যে অসঙ্গতি আছে। ইউক্রেন জানিয়েছে, ফ্রন্ট লাইনে ব্যাপক গোলাবর্ষণ হচ্ছে। রাশিয়ার ১৬টি কাঠামো তারা ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছে। অন্যদিকে রাশিয়ার দাবি তারা গত চারদিনে দুই কিলোমিটার এগোতে পেরেছে।
যদিও তারা কোনদিকে এগিয়েছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে জার্মানি তাদের অত্যাধুনিক ট্যাঙ্কের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে ইউক্রেনের সেনাকে। জার্মানিতেই একটি সেনা ঘাঁটিতে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এর আগেও ইউক্রেনের সেনাকে জার্মানিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি জার্মানি একাধিক লেপার্ড টু ট্যাঙ্ক ইউক্রেনকে দিয়েছে। সেই ট্যাঙ্ক চালানোরই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ইউক্রেনের সেনাকে।