‘রাষ্ট্রপতিকে কেউ নিয়োগ দেননি, তিনি নির্বাচিত’ বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন উঠেছে, প্রার্থীর সাংবিধানিক বা আইনগত অযোগ্যতা রয়েছে। এটা সত্য যে দুদক আইনে ৯ ধারায় বলা হয়েছে, কর্মাবসানের পর কোনো কমিশনার প্রজাতন্ত্রের লাভজনক কোনো পদে নিয়োগ লাভে যোগ্য হবেন না। এটার আলোকে বিষয়টি বিবেচ্য। এতে করে অনেকে বলতে চেয়েছেন যে, রাষ্ট্রপতির পদটি একটি লাভজনক পদ।’
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, আমরা এখান থেকে প্রার্থীকে নিয়োগ দান করিনি। প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দান করেননি। প্রধান বিচারপতিও নিয়োগ দান করেননি। কেউ নিয়োগ দান করেননি এবং কেউ নিয়োগ দান করতে পারেন না। উনি নির্বাচিত হয়েছেন। আইন তাকে নির্বাচিত করেছে প্রচলিত প্রথা অনুসরণ করে।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের অবশ্যই নির্বাচন ও নিয়োগের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে। তাকে যদি এখান থেকে নিয়োগ দেওয়া হতো তাহলে অবশ্যই অবৈধ হতো। কারণ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বা কর্তৃত্ব আমাদের নেই, কারোই নেই। যেমন আমাদের জাতীয় সংসদের সদস্যগণ নিয়োগপ্রাপ্ত হন না। তারা নির্বাচিত হন, সেটাই তাদের নিয়োগের সমতুল্য।
তিনি বলেন, উনি নির্বাচিত হয়েছেন পরোক্ষভাবে পুরো দেশবাসীর পক্ষে, আর প্রত্যক্ষভাবে জাতীয় সংসদের সদস্যদের দ্বারা। একজন মাত্রা প্রার্থী ছিলেন এবং দুটো মনোনয়নপত্র ছিল। আমি নির্বাচনী কর্তা হিসেবে বিবেচনা করেছি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং এর বাইরেও প্রচলিত যে আইন কানুন সংবিধানের ৬৬ ও ১৪৭ অনুচ্ছেদ এবং সে রায় বিবেচনায় করে দেখেছি এ পদে তার নির্বাচনে কোনো ধরনের অযোগ্যতা নেই। জনগণকে অবহিত করতে চাচ্ছি, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির প্রশ্নে যদি কোনো ধরনের অবান্তর বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়, সেটা হবে অনাকাঙ্ক্ষিত।
তিনি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের চূড়ান্ত একটি রায় রয়েছে। সেখানে বলে দেওয়া হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বা সেই অর্থে দুদকের কমিশনারকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ কোনোক্রমেই অবৈধ নয়। তাই এ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি অনাবশ্যক।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, বিচারপতি সাহাবুদ্দীন নির্বাচিত হয়েছিলেন, নিয়োগপ্রাপ্ত হননি।