ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় নিহত প্রকৌশলী বরগুনা বেতাগীর কদমতলা গ্রামের হাদিসুর রহমানের পরিবার বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন থেকে ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেক পেয়েছে। একইসঙ্গে হাদিসুরের মেজ ভাই তরিকুল ইসলামকে সরকারি চাকরি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে চেকটি নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন নিহত হাদিসুরের মেজ ভাই তরিকুল ইসলাম। স্বজনরা বলছেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পথে বসেছিলেন তারা। এখন সব অভাব দূর হবে তাদের।
হাদিসুরের
ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স বলেন, আমার ভাইয়ের স্বপ্ন ছিল বাড়ির মসজিদটি সংস্কার ও বড় করে নির্মাণ করা। এছাড়া বাবা-মায়ের জন্য একটি পাকা-বাড়ি নির্মাণ করারও স্বপ্ন ছিল তার। স্বপ্ন পূরণে প্রথমেই মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেছি আমরা। এরপর তার কবর ও বাড়ির কাজ শুরু করব। বাড়ির কাজের জন্য নির্মাণসামগ্রী কেনা হয়ে গেছে।
নিহত হাদিসুরের মেজ ভাই তারেক হোসাইন বলেন, ভাই মারা যাওয়ার পরে অসুস্থ বাবা ও মাকে নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আমাকে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে একটা চাকরি দেওয়া হয়। খুলনায় আমার পোস্টিং।
নিহত হাদিসুরের বাবা আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, আমার বড় ছেলে মারা যাওয়ার পর গোটা পরিবারের পথে বসার উপক্রম হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় আমরা পৌনে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছি।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে গত ২ মার্চ রাতে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকেপড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধিতে রকেট হামলা চালায় রুশ সেনারা। এ হামলায় জাহাজের প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফ নিহত হন।