দেশে বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দুর্গত এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার সরাসরি এর তত্ত্বাবধান করছেন। রোববার বিটিআরসির বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের একজন পরিচালকের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ওই সেল বন্যাদুর্গত এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্ক, অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ও ব্যান্ডউইথ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বন্যাদুর্গত এলাকায় সেনাবাহিনীর কার্যক্রমকে সহজ করার লক্ষ্যে বিটিআরসির উদ্যোগে টোল-ফ্রি নম্বর চালু করা হয়েছে। এছাড়া এই কার্যক্রমকে অধিক সহজ করার জন্য কমিশন থেকে ২০টি (বিশ) মোবাইল হ্যান্ডসেট সরবরাহ করা হয়েছে। বিটিআরসির লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের মাঠপর্যায়ের কর্মীরা বন্যাদুর্গত এলাকার সর্বশেষ অবস্থার হালনাগাদ তথ্য কমিশনকে অবহিত করছে এবং মনিটরিং সেলের নির্দেশনায় কার্যকরী টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে।
‘সরেজমিনে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে প্রতীয়মান হয়েছে যে, বর্তমানে সুনামগঞ্জ, সিলেট এবং নেত্রকোনায় টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো প্রায় অচল হয়ে পড়েছে এবং পানির অবাধ প্রবাহের কারণে মোবাইল নেটওয়ার্ক অবকাঠামো পুনরায় সচলের কাজটি চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে।
এরপরও সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটর, এনটিটিএন অপারেটর, আইএসপি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক সচল ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদানে প্রয়োজনীয় জেনারেটর, অপটিক্যাল ফাইবার ও পর্যাপ্ত জ্বালানি তেলের যোগান দেওয়ার ব্যবস্থা চলমান আছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ১৭ জুন থেকে ভারি বর্ষণ ও অতিবৃষ্টির ফলে সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোনা এই তিন জেলায় ৪টি মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের ১ হাজার ১৫৯টি সাইট বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাইটভুক্ত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। মোবাইল অপারেটরদের প্রচেষ্টায় ১৮ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫৭টি সাইট পুনরায় সচল করা হয় এবং বাকি সাইটগুলো সচল করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।