এর আগে গত ডিসেম্বরে ‘উরসা মেজর’ নামের একটি জাহাজ বাংলাদেশে ভেড়ার প্রাক্কালে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানিয়েছিল, সেটি আসলে তাদের নিষেধাজ্ঞায় থাকা জাহাজ ‘স্পার্টা-৩’। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন এড়াতে জাহাজটিকে বাংলাদেশ ভিড়তে দেয়নি। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞায় থাকা সব জাহাজের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উরসা মেজর পরে ভারতের হলদিয়া বন্দরে রূপপুরের মালপত্র খালাস করতে না পেরে চীনের একটি বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করে। এরপর জাহাজটির অবস্থান আর জানা যায়নি।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিয়েছিল, বিকল্প ব্যবস্থায় রূপপুরের সরঞ্জাম পাঠানো হতে পারে। এরই মধ্যে ভারতের হলদিয়া বন্দর থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালপত্র নিয়ে আসা বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি সেঁজুতি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভেড়ে। জাহাজটিতে এক হাজার ৪৮ মেট্রিক টন ‘স্ট্রাকচার’ ও মেশিনারি পণ্য রয়েছে। রাতেই জাহাজটি থেকে পণ্য খালাস শুরু হয়। খালাসের পর মালপত্র সড়কপথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে।