নির্যাতিতা ছাত্রীর মুখে নির্যাতনের লোমহর্ষক বর্ণনা, লিখিত অভিযোগের পর প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবি জানিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোসহ দেশের বিভিন্ন সংগঠন বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলোকে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ না জানানোয় শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হলে তারা শিক্ষকদের আন্তরিকতার ঘাটতির অভিযোগ করেন। একইসঙ্গে তাদের দাবি, শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বিষয়গুলোর পরিবর্তে তাদের গ্রুপিং ও রাজনীতির বিষয়ে বেশি মনোযোগী। শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিকতা থাকলে এই পরিস্থিতিতে শিক্ষক সংগঠনগুলো এগিয়ে আসতো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদক্ষেপগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখছি। এছাড়াও যেহেতু উচ্চ আদালত বিষয়টি নিয়ে রায় দিয়েছেন। এরপর বিবৃতি দেওয়া কঠিন। তবে প্রশাসনের কাজগুলো লক্ষ্যে রেখেছি। এক্ষেত্রে যদি আমরা ভিন্ন রকম কিছু দেখি তাহলে প্রয়োজন মনে হলে আমরা বিবৃতি বা পদক্ষেপ নেব।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন বলেন, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত দিয়েছে অর্থাৎ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এখানে আলাদা করে বিবৃতি দেওয়ার তো কিছু নেই। যদি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হতো তাহলে আমরা কথা বলতে পারতাম। এটা প্রশাসনকে জিজ্ঞাসা করার বিষয় যে তারা কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমরা ফোরামগতভাবে প্রশাসনকে বলেছি।
সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. কে এম মতিনুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতনের ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয়। আমরা ব্যস্ততার জন্য সংগঠন থেকে বিবৃতি দিতে পারিনি। তবে শিক্ষক সমিতিকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা কাজ করেছি। বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিৎ ছিল বিষয়টিকে আদালত পর্যন্ত গড়ানোর আগেই সমাধান করা।
সাদা দলের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. শরফরাজ নেওয়াজ বলেন, বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টি খুবই যুক্তিসঙ্গত। এটি করা উচিত ছিল। আমি বলবো এটি করতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা।
গ্রীণ ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান শেখ বলেন, আমাদের কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্ব চেঞ্জ না হওয়ায় ফরমালি মিটিং করে বিবৃতি দেওয়া হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি।