ভালোবাসার টানে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে সুদূর মেক্সিকো থেকে কলকাতায় ছুটে এলেন প্রেমিকা। কয়েকদিনের মধ্যে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন যুগল।
কলকাতা সংলগ্ন হাওড়ার বালি দুর্গাপুর সাহেববাগান এলাকার বাসিন্দা অরিজিৎ ভট্টাচার্য। বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত। করোনার শুরুতে ওয়ার্ক ফ্রম হোম শুরু করেন। কাজের পাশাপাশি সময় কাটাতে সোশ্যাল মিডিয়া ছিল ভরসা। এখান থেকেই আলাপ হয় মেক্সিকোর বাসিন্দা লেসলি ডেলগাডোর সঙ্গে। দুজনেই প্রেমে পড়ে যায়। গভীর হয় সম্পর্ক। কিন্তু কভিডের কারণে বিমান চলাচল স্বাভবিক না থাকায় দেখা হয়নি।কভিডের প্রকোপ কিছুটা কমলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট। এরপর এ বছর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হতেই সোজা মেক্সিকো থেকে আরিজিতের বাড়িতে হাজির লেসলি। অরিজিৎ জানায়, দুজনে কথাবার্তা বলে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১৯ জুন তাদের রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়। তবে আগামী ৫ জুলাই রীতি মেনে সাত পাকে বাঁধা পড়বেন তারা।
অরিজিৎ আরও জানায়, করোনা না এলে লেসলির সঙ্গে আলাপ হতো না। আরিজিতের বাবা বিনায়ক ভট্টাচার্য অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মী। মা কাকলী ভট্টাচার্য গৃহবধূ।
বিনায়ক ভট্টাচার্য জানান, লেসলি অত্যন্ত ভালো মেয়ে। সবাইকে খুব দ্রুত আপন করে নিয়েছে। সে ইংরেজি ও বাংলা শিখছে ভালোভাবে সবার সঙ্গে কথা বলার জন্য। আর অরিজিৎ স্প্যানিশ ভাষা শিখেছে লেসলির সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলার জন্য। অক্টোবর মাস পর্যন্ত হাওড়াতে থাকবে দুজনে। এরপর মেক্সিকো যাবে তারা। সেখানে সামাজিক অনুষ্ঠান হবে।তারপর ঠিক হবে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা।
এ বিষয়ে লেসলি জানায়, সে খুব খুশী অরিজিৎকে ভালোবেসে বিয়ে করতে পেরে।