প্রথম টেস্ট জিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে সফরকারী ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ড্র বা জয় পেলেই সিরিজ জিতবে ইংলিশরা। ১৫ বছর ধরে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জিততে না পারার বন্ধ্যাত্ব এবার ঘোচাতে চায় ইংল্যান্ড।
অন্যদিকে, প্রথম টেস্টে হারের লজ্জা ভুলে সিরিজ সমতায় শেষ করার লক্ষ্য নিউজিল্যান্ডের। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ওয়েলিংটনে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ জিতেছিলো ইংল্যান্ড। তিন ম্যাচের টেস্ট ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলো ইংলিশরা। এরপর তিনবার নিউজিল্যান্ড সফর করলেও, টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। একবার ড্র ও দু’বার হেরেছে তারা।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত জয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ১৫ বছর ধরে সিরিজ জিততে না পারার গেরো কাটানোর পথ তৈরি করে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডকে ২৬৭ রানের বড় ব্যবধানে হারায় ইংলিশরা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রান বিবেচনায় এটিই সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড ইংল্যান্ডের। এর মাধ্যমে মাধ্যমে ২০০৮ সালের পর আবারও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় বেন স্টোকসের দল।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ওভার প্রতি সাড়ে পাঁচের উপর রান নিয়ে ৯ উইকেটে ৩২৫ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। জবাবে ১৮২ রানে ৭ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। শেষদিকে অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে (১৩৮) নিউজিল্যান্ডকে ৩০৬ রানের সংগ্রহ এনে দেন উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেল।
১৯ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং অব্যাহত ইংল্যান্ড। ওভার প্রতি পাঁচের বেশি রান নিয়ে সব উইকেট হারিয়ে ৩৭৪ রান করে নিউজিল্যান্ডকে বড় টার্গেট দেয় ইংল্যান্ড। জয়ের জন্য ৩৯৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ইংল্যান্ডের দুই অভিজ্ঞ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেমস অ্যান্ডারসনের বোলিং তোপে পড়ে ১২৬ রানেই গুটিয়ে যায় কিউইরা।
এই ইনিংসে ৪টি করে উইকেট নেন অ্যান্ডারসন ও ব্রড। এতে টেস্ট ইতিহাসে বোলিং জুটিতে সর্বোচ্চ ১০০৯ উইকেট শিকারের বিশ্বরেকর্ড গড়েন অ্যান্ডারসন ও ব্রড।
ব্যাটার-বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দ্বিতীয় ম্যাচেও অব্যাহত রেখে সিরিজ জয়ে চোখ ইংল্যান্ডের। দলের অধিনায়ক বেন স্টোকস বলেন, ‘আমরা যেভাবে খেলছি, এভাবেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলবো। আমাদের লক্ষ্য প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা। তাহলেই আমাদের কাজটা সহজ হয়ে যাবে। সিরিজ জয়ের জন্য দ্বিতীয় ম্যাচেও জিততে চাই আমরা।’
সিরিজ হার এড়াতে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না নিউজিল্যান্ড। আরও ভালো ক্রিকেট খেলার প্রত্যাশায় কিউইরা। অধিনায়ক টিম সাউদি বলেন, ‘প্রথম টেস্টে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি। আমাদের আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। সিরিজ হার এড়াতে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবার অবকাশ নেই আমাদের।’
এ পর্যন্ত ১১১ টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। জয়ের পাল্লাটা ইংল্যান্ডের দিকেই ভারী। ৫২ ম্যাচে জয় পেয়েছে ইংলিশরা। নিউজিল্যান্ডের জয় মাত্র ১২টিতে। ড্র হয়েছে ৪৭টি ম্যাচ।