বিশ্বব্যাপী যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি হয়েছে, তার পেছনে প্রাথমিক দুটি কারণকে দায়ী করা যায়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে করোনা অতিমারির প্রভাব। করোনার কারণে বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। অনেক মানুষের আয় কমে গেছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই বিষয় লক্ষ করা যায়। করোনার কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। সাধারণ মানুষের আয়-রোজগার কমে গেছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে।
আমরা যদি সামগ্রিকভাবে বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করি, তাহলেও একই চিত্র প্রত্যক্ষ করা যাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেভাবে করোনা অতিমারি প্রভাব ফেলেছে, বাংলাদেশেও ঠিক সেভাবেই করোনা অর্থনীতির ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে। সবচেয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে পরিবহন সেক্টরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ পরিবহন সব ক্ষেত্রেই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। একপর্যায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার প্রভাব অনেকটাই কমে আসে। চীন, কোরিয়া, জাপান এবং আরো কিছু দেশে করোনার প্রভাব এখনো অনেক বেশি। তবে সার্বিকভাবে বিশ্বব্যাপী করোনার প্রভাব আগের তুলনায় অনেকটাই কমে এসেছে। বাংলাদেশে করোনার প্রভাব অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। করোনার প্রভাব কমে আসায় বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়। ঠিক সেই পর্যায়ে শুরু হয় রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী নতুন করে সংকট সৃষ্টি হয়।
বলা যায়, করোনা অতিমারির সংক্রমণ থেকে বিশ্ব যখন পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় ছিল, ঠিক তখনই শুরু হয় রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধের ভয়াবহতা বিশ্ব অর্থনীতিকে আবারও সংকটে ফেলে দেয়। এতে বিভিন্ন দেশে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হয়। আন্তর্জাতিক পরিবহন খাতে তীব্র সমস্যা দেখা দেয়। এর জের এখনো বিশ্বকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিশ্বব্যাপী উৎপাদন ও পরিবহন সংকট দেখা দেয়। যেসব দেশ রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল, গ্যাস এবং ইউক্রেন থেকে খাদ্য আমদানি করত, তারা মারাত্মক বিপদে পড়ে। কারণ যুদ্ধের কারণে রাশিয়া জ্বালানি তেল ও গ্যাস উত্তোলন এবং রপ্তানি কমিয়ে দেয়। ইউক্রেনে প্রচুর খাদ্য উৎপাদন হলেও তারা যুদ্ধের কারণেই সেই খাদ্যপণ্য রপ্তানি করতে পারেনি। ফলে যেসব দেশ খাদ্যপণ্যের চাহিদা আমদানির মাধ্যমে পূরণ করত, তারা বিপাকে পড়ে। বিশ্বের সর্বত্রই পণ্যমূল্য বাড়ে। সব দেশই তাদের নিজেদের মতো করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের মতো করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব আমেরিকা (ফেড) তাদের নীতি সুদহার এক বছরের মধ্যে অন্তত সাত বার বাড়ায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মার্কিন নাগরিকদের বিনিয়োজিত অর্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসতে শুরু করে এবং বিভিন্ন দেশের উদ্বৃত্ত অর্থের মালিকেরাও তাদের উদ্বৃত্ত পুঁজি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্কিমে বিনিয়োগ করতে থাকে। এভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদ্বৃত্ত অর্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োজিত হতে থাকে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগযোগ্য তহবিলের সংকট সৃষ্টি করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতির কারণে বিশ্বব্যাপী আর্থিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মূলত তাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে উৎপাদন বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্যই এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি একপর্যায়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল, যা ছিল গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়ানোর ফলে তাদের অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে এসেছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব অর্থনীতিকে মন্দার আশঙ্কায় ফেলে দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে, বিশ্ব অর্থনীতি ভয়াবহ মন্দার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। তারা বলছে, আগামী বছর বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়তে যাচ্ছে। তবে তা কতটা গভীর হবে, কত দিন স্থায়ী হবে—এ সম্পর্কে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে মন্দার আশঙ্কা কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যাচ্ছে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য উন্নত দেশের অর্থনীতির এসব সমস্যা বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর অভিঘাত ফেলছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিও নানা কারণে অস্থিরতার মুখোমুখি। তবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতিসহ যেসব সমস্যা দেখা দিয়েছে, সেজন্য অভ্যন্তরীণ কারণ যতটা না দায়ী, তার চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সমস্যা। বাংলাদেশকে জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেলসহ অনেক উন্নয়নসংশ্লিষ্ট ও ভোগ্যপণ্য আমদানি করতে হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মালামাল পরিবহনের জন্য যে জাহাজ ব্যবহার করা হয়, তার ভাড়া অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে সামগ্রিকভাবে মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিয়েছে। অবশ্য মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য অভ্যন্তরীণ কিছু কারণও কাজ করেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে উৎপাদন অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। তাই দেশে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য এতটা বাড়ার কথা নয়, কিন্তু বাস্তবে বেড়েছে। উভয় ক্ষেত্রে কারণ হচ্ছে কিছু অসৎ আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী দ্বারা গুদামজাতকরণের মাধ্যমে কৃত্রিম সরবরাহ ঘাটতি সৃষ্টি করে অধিক মুনাফার জন্য দাম বাড়ানো। অবশ্য ইতিমধ্যে স্থানীয় বাজারে পণ্যমূল্য কিছুটা হলেও কমতে শুরু করেছে। গত জানুয়ারিতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা হলেও কমেছে। জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ডিসেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। জানুয়ারিতে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম অনেকটাই কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম একপর্যায়ে ১৩৯ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছিল। তা এখন যুদ্ধ-পূর্বাবস্থায় চলে এসেছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল ৮০ মার্কিন ডলারেরও কম। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম যেভাবে কমছে, তা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে পণ্যোৎপাদন ও পরিবহন খরচ আনুপাতিক হারে কমার কথা। তখন আমাদের আমদানি করা পণ্যের দামও কমে আসবে। আবার বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সময় বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলে অভ্যন্তরীণ বাজারের সমন্বয় করা হবে। কিন্তু এখনো সেটা করা হয়নি। এখন আমাদের আগামীর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বর্তমানে কিছুটা কমেছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, বাংলাদেশের বিপুল জনগোষ্ঠী স্বল্প আয়ের। স্বল্প আয়ের মানুষের আয়রোজগার কিন্তু মূল্যস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে না। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বল্প আয়ের মানুষের আয় কমে গেছে অথবা বাড়েনি। এতে তারা বিপাকে পড়েছেন। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু গড় জাতীয় আয় বেড়েছে। এখন আমাদের দেশের মানুষের মাথাপিছু গড় জাতীয় আয় হচ্ছে ২ হাজার ৭৯৩ মার্কিন ডলার, আগের বছর যা ছিল ২ হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলার। একই সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। কিন্তু বিত্তবান মানুষের আয় যেভাবে বাড়ছে, দরিদ্র মানুষের আয় সেভাবে বাড়ছে না। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা কমে যাচ্ছে। দেশের মানুষের মধ্যে আয়বৈষম্য বাড়ছে। দেশে বর্ধিত আয় কিছু মানুষের হাতে পুঞ্জীভূত হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির অভিঘাত স্বল্প আয়ের মানুষের ওপর বেশি পড়ছে।
বাজারে দাম বাড়ার দুই ধরনের প্রবণতা প্রত্যক্ষ করা যায়। কোনো একটি পণ্য বিদেশ থেকে বেশি দামে কিনে আনা হলে তার দাম অনিবার্যভাবে বাড়বে। কিন্তু স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের দাম তো এতটা বাড়ার কথা নয়। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে একশ্রেণির সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি রয়েছেন, যারা সুযোগ পেলেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করেন। যেমন— হঠাৎ করেই বাজারে চিনির দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেওয়া হলো। কয়েক বছর আগে কাঁচা পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছিল। এই সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধের জন্য সরকারের অনেক কিছু করণীয় আছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ওপর সরকারের নজরদারি বাড়াতে হবে। কারা বিভিন্ন পণ্যের, বিশেষ করে আমদানি করা পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, এটা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জানা আছে। প্রয়োজন শুধু ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এক দিন ম্যাজিস্ট্রেট ঘোষণা দিয়ে বাজারে গেলে হবে না। নিয়মিত তদারকি বজায় রাখলে দুর্নীতিবাজ ও মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতে পারে।
আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রেই উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার বলেছেন, দেশের এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবে না। শুধু কৃষি ক্ষেত্রেই নয়, সম্ভাব্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। দেশে এমন অনেক ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে উত্পাদনক্ষমতা এখনো পূর্ণ মাত্রায় ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। উৎপাদন সক্ষমতার পুরো সদ্ব্যবহার করতে হবে। একই সঙ্গে আমদানির বিকল্প পণ্য উৎপাদনের প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন সম্ভব সেই সব পণ্যের আমদানি নিরুত্সাহিত করতে হবে। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল ও বিকাশমান অর্থনীতিতে বিলাস দ্রব্য আমদানি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পদক্ষেপ অবশ্যই দেশের অর্থনীতির স্বার্থে নেওয়া যেতে পারে। বর্তমান অবস্থায় কৃচ্ছ্রসাধন বাঞ্ছনীয়।
উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকার যথেষ্ট নীতিসহায়তা দিচ্ছে। সরকারি নীতিসহায়তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগী হতে হবে। কারণ স্থানীয়ভাবে সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি টেকসই উন্নয়ন অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্যোত্পাদনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সফলতা অর্জন করেছে। খাদ্যোত্পাদন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় অর্জিত না হলে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। উন্নয়ন সহযোগীরা বিভিন্ন সময়ে কৃষি খাতে ভর্তুকি প্রদান বন্ধ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার সেই পরামর্শ উপেক্ষা করে কৃষি খাতে ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত রেখেছে। ফলে বাংলাদেশ কৃষি খাতে যথেষ্ট সফলতা অর্জন করেছে। কৃষি খাতে এমন সফলতা অর্জিত না হলে করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধকালে আমাদের সমস্যায় পড়তে হতো।