আগামী ১০ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা হচ্ছে―এমনটা ধরে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ১ জুলাই সকাল ৮টা থেকে কাউন্টার ও অনলাইনে বিক্রি শুরু হবে। এবারের ঈদ যাত্রার ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাবে রেল। একই সঙ্গে ঈদের সময় সব আন্ত নগর ট্রেনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
আজ বুধবার রেল ভবনের ‘রেলসেবা মোবাইল অ্যাপসের উদ্বোধন এবং আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রেলওয়ের টিকেট বিক্রি কার্যক্রম’ প্রসঙ্গে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১, ২, ৩, ৪ ও ৫ জুলাই বিক্রি হবে যথাক্রমে ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ জুলাইয়ে টিকিট। ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৭ জুলাই। ৭, ৮, ৯ এবং ১১ জুলাই বিক্রি হবে যথাক্রমে ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ জুলাইয়ের ফিরতি ট্রেনের টিকিট। অগ্রিম টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। তবে বিশেষ ট্রেনের কোনো টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে না। এটি কাউন্টার থেকে সংগ্রহ করতে হবে। কমলাপুর স্টেশনে ভিড় কমাতে সাতটি স্টেশন রেলের টিকিট বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রেলমন্ত্রী বলেন, ঢাকা (কমলাপুর) স্টেশনে বিক্রি হবে সমগ্র উত্তরাঞ্চলগামী আন্ত নগর ও পঞ্চগড় ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিট, ঢাকা (কমলাপুর) শহরতলি প্ল্যাটফরম থেকে বিক্রি হবে রাজশাহী ও খুলনাগামী সকল আন্ত নগর ট্রেন, ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে বিক্রি হবে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্ত নগর ট্রেন, তেজগাঁও স্টেশনে বিক্রি হবে ময়মনসিংহ, জামালপুর, দেওয়ানগঞ্জগামী সব আন্তনগর ট্রেন, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে বিক্রি হবে মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেন, ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন) স্টেশনে বিক্রি হবে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব অন্ত নগর ট্রেনের টিকিট। জয়দেবপুর স্টেশন থেকে বিক্রি হবে পঞ্চগড়গামী ঈদ বিশেষ ট্রেনের টিকিট।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে যাত্রীরা জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদের ফটোকপি কাউন্টারে প্রদর্শন করে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে সকাল ৮টায়। কাউন্টারে বিক্রি হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রতিটি টিকিট বিক্রি কেন্দ্রে নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি করে কাউন্টার থাকবে। প্রতিটি আন্ত নগর ট্রেনে শুধু নারী ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য আলাদা কোচ সংযোজন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘ট্রেনের মোট টিকিটের অর্ধেক কাউন্টারে এবং অর্ধেক রেলের ওয়েবসাইট ও রেলসেবা অ্যাপের মাধ্যমে দেওয়া হবে। রেলসেবা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে। আমরা টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করতে চাই। তাই টিকিটে যার ভ্রমণ তার পরিচয় নিশ্চিত করতে চাই। ঈদ যাত্রা শুরুর দিন থেকে ঈদের পাঁচ দিন পর্যন্ত ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ঢাকাগামী কোনো ট্রেনের টিকিট ইস্যু করা হবে না। ‘