গোটা দেশ জুড়ে হাহাকার! বর্তমানে দেউলিয়া অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের। ঋণের দায়ে আগেই বেহাল দশা হয়েছিল দেশবাসীর আর এবার সেই সংকট এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, ক্লাসে পড়ুয়াদের বইখাতা পর্যন্ত আর দেওয়ার ক্ষমতা নেই তাদের। বর্তমানে এহেন গভীর সংকটের মুখোমুখি হয়ে পড়েছে সমগ্র পাকিস্তান। কাগজের অভাব প্রকাশ্যে আসতেই এই সমস্যা দেখা গিয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সম্প্রতি কাগজ ব্যবসায়ী সংস্থাগুলি জানায়, “দেশজুড়ে কাগজের অভাব ক্রমশ বেড়ে চলছে। অতিরিক্ত দাম হওয়ার কারণে আমরা সেগুলি কিনতে পারছি না এবং বইখাতা ছাপা সম্ভব হচ্ছে না।” আর এরপরেই বলা হয়, এবার থেকে নতুন ক্লাসে উঠলেও পাঠ্যপুস্তক পাবে না পড়ুয়ারা।
স্বভাবতই, এই ঘটনায় মাথায় হাত পড়েছে সাধারণ মানুষের। বিশেষজ্ঞ মহল এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী করেছে পাক সরকারকে। এক বিশিষ্ট লেখকের কথায়, “পাকিস্তানে যে প্রধানমন্ত্রী আসুক না কেন, আমরা একটা সমস্যা সবার সময়কালে দেখে চলছি এবং তা হলো, তারা সকলেই ঋণ নেন কিন্তু তারপরে সেটা আর শোধ করতে পারেন না। বর্তমানেও সেই একই সমস্যায় ভুগে চলছে আমাদের দেশ। যেভাবে দেশে জনসংখ্যা বেড়ে চলছে, তাতে সকলের প্রয়োজন মিটিয়ে লোন মেটানো যাবে কিনা, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
বর্তমানে পাকিস্তানের ঋণের বোঝা বিশাল আকার ধারণ করেছে। শুধুমাত্র চীনের কাছ থেকেই 450 কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ নেয় পাক সরকার তার সুদ মেটানোর জন্য ইতিমধ্যেই সেই দেশ থেকে চাপ দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে শুধুমাত্র চীন নয়, কুয়েত, কাতার এবং সৌদি আরবের মতো বিভিন্ন দেশ থেকে ঋণ নিয়ে বর্তমানে প্রবল সংকটে পড়েছে পাকিস্তান আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই সমস্যার সমাধান কিভাবে করে সরকার, সেদিকে তাকিয়ে দেশবাসী।