কোয়াড’—অর্থাৎ কোয়াড্রিল্যাটেরাল সিকিউরিটি ডায়ালগ, চতুষ্পক্ষীয় (চার দেশীয়) নিরাপত্তা সংলাপের সূচনা করেন জাপানের সাবেক প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র এই সংলাপে যুক্ত হয় ২০০৭ সালে। কোয়াডের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে ‘অনুশীলন মালাবার’ নামে ভারত সাগরে বড় আকারে যৌথ সামরিক নৌ মহড়া শুরু করা হয়। ‘এশিয়ার ন্যাটো’ গঠনের প্রচেষ্টা হিসেবে চীন এই উদ্যোগের প্রতিবাদ করে। দীর্ঘকাল ধরে নিয়মিত চলছে অনুশীলন মালাবার। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ‘মালাবার নৌ মহড়া’ পুনরায় শুরু করা হয়। যু্ক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানবাহী চারটি রণতরিসহ (এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার) ভারতের ও অন্যদের নৌবাহিনী সক্রিয় ও বড় আকারে এই অনুশীলনে অংশ নেয়।
পৃথিবীতে আমরা যেসব দ্বন্দ্ব-সংঘাত দেখেছি, তা হঠাত্ করেই সৃষ্টি হয়নি। বিভিন্ন যুদ্ধের পরম্পরা থাকে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে যুদ্ধের বিষয়ে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা সবাই বলে। কিন্তু কেউই প্রকৃত পক্ষে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। যে কারণে বারবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে, যুদ্ধ চলতেই থাকে। আমরা এই দুর্ভাগ্যের শিকার হতেই থাকব। কেউ জানে না, কবে বিশ্ব নেতৃত্ব বিশ্বশান্তি নিয়ে আন্তরিকভাবে চিন্তা করবেন, প্রচলিত ‘রিয়াল পলিটিকের’ ধারণা পালটাবেন। গ্রিক আমল থেকেই ভৌগোলিক রাজনীতি বা জিও-পলিটিকস নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা হয়েছে। সেই সময় ‘পেলোপোনেশিয়ান’ নামে একটি বড় যুদ্ধ হয়েছিল, যা প্রায় তিন দশক ধরে চলেছিল। সমগ্র গ্রিক অঞ্চল এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। তখনকার জেনারেল ও ইতিহাসবিদ থুসিডাইডস ‘পেলোপোনেশিয়ান’ যুদ্ধের ওপর একটি গ্রন্থ লিখেছিলেন। সেই গ্রন্থে তিনি একটি তত্ত্ব উপস্থাপন করেন, যা পরবর্তী সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসবিদ ও সমরবিদগণ সামনে নিয়ে আসেন। তত্ত্বটির নাম দেওয়া হয় ‘থুসিডাইডস ট্র্যাপ’। অ্যাথেন্সকে দমন করতে র্স্পাটা যুদ্ধ শুরু করল। যুদ্ধরত পক্ষদ্বয় গ্রিসের অন্যান্য স্বাধীন সিটি স্টেটগুলোকে বাধ্য করে কোনো একটি পক্ষকে সমর্থন দেওয়ার জন্য। এই অবস্থার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, এখনো চলছে এই ভূরাজনীতি। কিন্তু কেউ শিক্ষা নিচ্ছে না। বিশ্ব ভূরাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে ‘থুসিডাইউস ট্র্যাপ’কে বারবারই দেখতে পাব। এ জন্যই ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্যাটেজিক পার্টনারশিপ, কোয়াড ও আউকাস (অস্ট্রেলিয়া, ইউকে, ইইএস) গঠনের তত্পরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এই জোট গঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে দুই পরাশক্তির প্রতিযোগিতা। আরো স্পষ্ট করে বলতে হয়, এই অঞ্চলে চীনের উত্থান ঘটছে খুব দ্রুতগতিতে। চীন ইতিমধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে চলে গেছে। জাপান ৪৪ বছর ধরে বিশ্ব অর্থনীতিতে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। সম্প্রতি চীন জাপানকে অতিক্রম করে বিশ্ব অর্থনীতিতে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক ইস্যুতে চীনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছে না। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বাজারও চীনা পণ্যে সয়লাব হয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরুদ্ধে অনৈতিক বাণিজ্যের অভিযোগ করে আসছে অনেক দিন ধরেই। বিশেষ করে তারা বলছে, চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের পণ্য রপ্তানিকারকদের অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার জন্য চীনা মুদ্রা ইউয়ানের বিনিময় হার মার্কিন ডলারের বিপরীতে পরিকল্পিতভাবে কমিয়ে রেখেছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে চীনা পণ্য রপ্তানিকারকগণ বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন পর্যায়ে চীনের বিরুদ্ধে সীমিত বাণিজ্য অবরোধ আরোপ করেছে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। কোভিড-১৯ সত্ত্বেও চীন এখনো বিশ্বের ‘ম্যানুফ্যাকচারিং হাব’ রয়ে গেছে।
ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চীনের অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রধান্য দিনে দিনেই বাড়ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বে এখনো ‘এক চীন’ নীতি সমর্থন করলেও কার্যত তারা চীনের বিপরীতে তাইওয়ানের স্বাধীনতার জন্য সমর্থন দিচ্ছে। এই দুই পরাশক্তির এই প্রতিযোগিতা দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক সংঘাতের একটি সম্ভাব্য স্থানে পরিণত হয়েছে। ফলে অঞ্চলটি খুবই উত্তেজনাময় হয়ে উঠছে। ২০২২ সালে মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেন। তাইওয়ানের বর্তমান সরকার স্বাধীনতাকামী। এই অবস্থায় মার্কিন স্পিকারের তাইওয়ান সফরকে চীন উসকানি হিসেবে গণ্য করে। চীন তাত্ক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিমান মহড়া শুরু করে। এই মহড়ায় অংশ নেওয়া বিমানগুলো তাইওয়ানের আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে বারবার। চীনের এই আচরণকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক শক্তির প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করে। চীন প্রায় ৩০ বছর আগে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ‘বিআরআই’ শুরু করেছিল। আগে এই উদ্যোগের নাম ছিল ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’। এটা দৃশ্যত চীনের একটি অর্থনৈতিক কৌশলগত উদ্যোগ। চীন চাইছে এই উদ্যোগের মাধ্যমে পুরো বিশ্বে অর্থনৈতিক যোগসূত্র তৈরি করতে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা মনে করছে, বিআরআই দৃশ্যত একটি অর্থনৈতিক উদ্যোগ মনে হলেও এর পেছনে চীনের ভূরাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্য আছে। এ জন্য চীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করে থাকে। অর্থনৈতিক সামর্থ্য ছাড়া কারো পক্ষে সামরিক শক্তি অর্জন করা সম্ভব নয়। চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশের অধিকাংশ দেশকে অর্থনৈতিকভাবে যুক্ত ও উন্নত করতে পারলে তারাও চীনের সহায়তায় সামরিক শক্তি হিসেবে গড়ে উঠবে। বিআরআইতে যুক্ত হয়েছে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর। চীন বলছে, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ শুধু অর্থনৈতিক স্বার্থে নিবেদিত, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্ররা সেটা মানতে নারাজ। মূল সমস্যা শুরু হয়েছে এখান থেকেই। আবার সৃষ্টি হয়েছে থুসিডাইউসের ট্র্যাপ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর মাধ্যমে চীন বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির পাশাপাশি সামরিক শক্তি বিস্তারের উদ্যোগ নেবে। তারা পুরো অঞ্চলে বিকল্প শক্তি হিসেবে আধিপত্য বিস্তারের জন্য চেষ্টা করবে। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে। এই অঞ্চল সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলে প্রায় ২ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন মানুষের বসবাস। এখানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মিত্র দেশ। ভারতের সঙ্গে চীনের অনেক আগে থেকেই দ্বন্দ বিরাজ করছে। ১৯৬২ সালে দেশ দুটি প্রথাগত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। চীন ও ভারতের সীমান্তে ‘লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল’ কার্যকর থাকলেও এখানে মাঝে মাঝে উভয় দেশের সৈন্যরা বিবাদে যুক্ত হয়। সীমান্ত সংঘর্ষ হয়ে থাকে। তবে ভালো দিক হচ্ছে, সীমান্ত সংঘাতের সময় কোনো দেশের সৈন্যরাই ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে না। অনেক সময় এমনও দেখা গেছে, তারা অস্ত্র ব্যবহার না করে ইট-পাথর ছুড়ছে। একভাবে এটা উভয় দেশের সৈন্যদের যুুদ্ধবিরোধী সহনশীলতার পরিচায়ক, কিন্তু হাস্যকরও বটে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিক (আইপিএস) জোট গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই উদ্যোগ থেকে একসময় অস্ট্রেলিয়া বেরিয়ে এসেছিল। তারা পুনরায় আইপিএসে যোগ দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, নিউজিল্যান্ড নতুন করে এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন সময়ে নৌঅনুশীলন মালাবারে অংশ নিচ্ছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোয়াড ও আইপিএসে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে উচ্চপর্যায়ের কোনো কোনো কর্মকর্তা মাঝে মাঝেই বাংলাদেশ সফর করছেন। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল থেকে একজন উচ্চপদস্থ নারী রিয়ার অ্যাডমিরাল কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন করবে। চীন এই সংকটে মিয়ানমারকে মৌন সমর্থন দিচ্ছে বলে ধারণা করা হয়। যদিও সম্প্রতি চীন বলেছে, তারা রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানের চেষ্টা করবে। এ কারণে বাংলাদেশের জন্য জটিল ভূরাজনীতি ও সামরিক নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত হয়ে গেছে। আরেকটি কারণ হলো ভারত মহাসাগর। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত অবস্থানে। বাংলাদেশর সমুদ্র অঞ্চল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পূর্ব দিকেই রয়েছে স্ট্যাটেজিক মালাক্কা চ্যানেল। এই চ্যানেলের মধ্য দিয়েই প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের ৭০ শতাংশ ব্যাবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। পণ্যবাহী জাহাজগুলো বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের মধ্য দিয়ে সমস্ত বিশ্বে চলে যায়। এর মুখে ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ আছে। সামরিক কৌশলগত কারণে বাংলাদেশের অবস্থান তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। মূলত এ কারণেই বাংলাদেশের ওপর সবার দৃষ্টি পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনের কৌশলগত চাপ আগে থেকেই ছিল। ষাটের দশকে ‘জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের’ একটা বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। এখন আর তা নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের কোয়াডে, আইপিএসে যোগ দেওয়া উচিত কি না! এই প্রশ্নের কোনো সহজ উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। এই জোটে যোগ দেওয়া না দেওয়ার মধ্যে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয় জড়িত। এই প্রশ্নে আমাদের ভাবতে হবে, বাংলাদেশের নিজস্ব অবস্থানটা কেমন।
বাংলাদেশ গত ৫০ বছরে যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জন করেছে, তা যদি টেকসই ও সমতাভিত্তিক উন্নয়ন হতো, উন্নয়ন যদি দারিদ্র্যবিমোচনে সহায়ক হতো এবং রাজনীতি যদি প্রকৃত গণতান্ত্রিক, দুর্নীতিমুক্ত এবং স্থিতিশীল হতো, তাহলে বাংলাদেশ একটি কার্যকর ও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারত। অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজের অবস্থান দৃঢ় ও শক্তিশালী করতে পারলে বাংলাদেশ সামারিক শক্তিতেও বলিয়ান হয়ে উঠতে পারত। তখন বাইরের যে কোনো চাপ সহজেই মোকাবিলা করা সম্ভব হতো। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক ও গণতান্ত্রিক দুর্বলতার কারণে বাইরের শক্তি আজ আমাদের বিভিন্ন ইস্যুতে চাপ দিতে পারছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় দূরদর্শিতা থাকলে গত ৫০ বছরে আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিতে অবশ্যই বলিয়ান হয়ে উঠতে পারতাম। আমরা বিশ্বশান্তি রক্ষায় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি নিজেদের অবস্থান আরো দৃঢ় করতে পারতাম। আমাদের প্রয়োজন কোনো সামরিক নিরাপত্তাব্যবস্থায় জড়িত না হয়ে আমাদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন করা। দলমত-নির্বিশেষে ভূরাজনৈতিক ও ভূকৌশলগত বিষয়ে শক্তিশালী জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করার বিকল্প নেই। বিভিন্ন দলীয় মতপার্থক্য যতই থাক, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে, আমজনতার উন্নয়নের স্বার্থে এবং বিশ্বে জাতীয় মর্যাদা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অবশ্যই অপরাধপ্রবণতা, দূর্নীতি ও সন্ত্রাস-সংঘাতের রাজনীতি থেকে দেশকে মুক্ত করতেই হবে।