প্রথম স্ত্রীকে বিয়ে করেছিলেন ২০১৮ সালে। দুই বছর পরেই আবার ‘বিয়ে’। বিষয়টি প্রথম স্ত্রী জানার পর শুরু হয় বিতণ্ডা। শেষমেশ সমঝোতা হলো, দুজনের কাছে সপ্তাহে তিন দিন করে থাকতে হবে স্বামীকে। আর বাকি একদিন কার সঙ্গে থাকবেন, তা তিনি নিজেই ঠিক করবেন।
দিন ভাগাভাগির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের গোয়ালিয়র শহর আদালতের আইনজীবী হারিশ দিওয়ান। তাঁর ভাষ্যমতে, যাঁকে ঘিরে বিতণ্ডা, সেই স্বামী একজন প্রকৌশলী। থাকেন ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রাম শহরে।
ওই প্রকৌশলীর প্রথম স্ত্রীর বাবার বাড়ি গোয়ালিয়রে। ২০২০ সালে করোনা মহামারির শুরুতে স্ত্রীকে বাবার বাড়িতে রেখে আসেন তিনি। এরপর বহুদিন সেমুখো হননি তিনি। এতে সন্দেহ হয় স্ত্রীর। একদিন হুট করে গুরুগ্রামে স্বামীর অফিসে গিয়ে হাজির হন তিনি। দেখতে পান এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে সংসার পেতেছেন স্বামী। তাঁদের একটি কন্যাসন্তানও হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে প্রথম একচোট ঝগড়ার পর গোয়ালিয়রে পারিবারিক আদালতে বিচার চান প্রথম স্ত্রী। পরে আদালত ওই ব্যক্তিকে ডেকে নেন। বারবার বোঝানোর পরও দ্বিতীয় স্ত্রী বলে যাঁকে দাবি করেছেন, তাঁকে ছাড়তে রাজি হননি তিনি। পরে তিনজন মিলে ওই সমঝোতা চুক্তিতে যান।
চুক্তি অনুযায়ী, দুই ‘স্ত্রী’র জন্য আলাদা বাসার ব্যবস্থা করবেন স্বামী। সেখানে দুজনের সঙ্গে সপ্তাহের দিন ভাগ করে থাকবেন। এ ছাড়া নিজের বেতনের অর্থও দুজনের পেছনে সমান ভাগে খরচ করতে হবে তাঁকে।
ভারতে এই চুক্তির বৈধতা আছে কি না, জানতে চাইলে হরিশ দিওয়ান বলেন, চুক্তিটি করেছেন ওই তিনজন। এর সঙ্গে আদালতের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আর হিন্দু আইন অনুযায়ী এই বিয়ে বৈধ নয়। কারণ, হিন্দু আইনে এক স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কাউকে বিয়ে করা যায় না।