পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলে প্রথমবারের মত দুটি উচ্চ প্রযুক্তির ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদ। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু জাতীয় বিষয়। এটাকে কেন্দ্র করে সারা দেশ উদযাপন করছে। আমরা চেষ্টা করবো তাদের নিরাপত্তা দেয়ার। এসময় পদ্মা সেতু ঘিরে প্রধানমন্ত্রীসহ যেকোনো বিষয়ে হুমকি থাকলে তা গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তা মোকাবেলা করা হবে বলেও জানান আইজিপি।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বেনজীর আহমেদ বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল পুলিশের কাছে কোনো হুমকি নেই। ঐতিহাসিক এই জনসভা ঘিরে প্রতিটি স্থানে আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। বড় ওয়াচ টাওয়ার দুটি আমেরিকা থেকে সম্প্রতি আনা হয়েছে। শারীরিকভাবে এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পূনর্মূল্যায়ন করছি এবং প্রতি মুহূর্তে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে গোয়েন্দা সমন্বয় রয়েছে।
তিনি বলেন, আগামীকাল স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হচ্ছে। এটাকে কেন্দ্র করে সারা দেশ উদযাপন করছে। আমরা চেষ্টা করবো তাদের নিরাপত্তা দেয়ার। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকেও উৎসব করা হবে। সেখানে দেশের নানা শ্রেণি পেশার মানুষকে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা প্রতিটি অনুষ্ঠানে নিবিড়ভাবে দেখভাল করছি। যাতে কেউ অপ্রীতিকর কিছু করতে না পারে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক উদযাপনের নানা দিক তুলে ধরে পুলিশের নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়টি তুলে ধরেন। আইজিপি বলেন, পদ্মা সেতু শুধু আমাদের দেশের ইস্যু নয়, এটা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও আলোচনায় রয়েছে। তাই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশ, নৌপুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ আলাদাভাবে কাজ করছে। জনসভা শেষ হওয়া না পর্যন্ত আমরা এখানে থাকবো।
বেনজীর আহমেদ বলেন, সেতু মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা কমিটিও এখানে কাজ করছেন। আমরা সর্বশেষ নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখতে এসেছি। জনসভাস্থলে যাওয়া আসা পথ কেমন হবে গাড়ি পার্কিং কেমন হবে এসব বিষয় ট্রাফিকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ মানলে সবার জন্য জনসভাস্থলে আসা খুবই সুবিধা হবে। এছাড়া রাস্তায় সাইন পোস্টিং দেয়া আছে। যারা এখানে কখনও আসেনি তারাও খুব সহজে প্রবেশ করতে পারবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) লিমন রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবচর (সার্কেল) আনিসুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীসহ প্রশাসনের ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সভাস্থল ঘিরে ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সকাল ১১টায় মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে জনসভায় যোগ দেবেন। আওয়ামী লীগ পক্ষ থেকে ১০ লাখ লোকের সমাগম করার পরিকল্পনা রয়েছে। ঘাট এলাকায় প্রায় ৮ কিলোমিটার জুড়ে নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি বসানো হয়েছে।