সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ এবং আক্রান্তদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় এমপি ডলি বেগম। নিজের ফেসবুক পেজ থেকে এ নিয়ে একটি বড় পোস্ট দিয়েছেন তিনি। এতে তিনি লিখেছেন, আমার হৃদয় ও চিন্তায় বাংলাদেশের বন্যাক্রান্তরা রয়েছেন। দ্রুত যাতে এই দুর্ভোগ এবং ভয়াবহতা শেষ হয় সেই প্রার্থণা করি। এছাড়া তিনি আক্রান্তদের সাহায্য করতে যা যা করা সম্ভব তা করার আহবান জানান বাংলাদেশ সরকার এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে। বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ রূপও।
ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, গত এক সপ্তাহে সিলেট শহরের বিভিন্ন হৃদয় বিদারক ছবি আমার চোখে পড়েছে। গত এক শতাব্দির মধ্যে হয়ে যাওয়া সবথেকে ভয়াবহ বন্যাগুলোর একটিতে বাংলাদেশের একাংশ ডুবে আছে। আমরা প্রায়ই জলবায়ু সংকটের কথা বলি, কিন্তু এর গুরুত্ব হয়তো সবাই উপলব্ধি করতে পারে না। কিন্তু বর্তমানে এই সংকট বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরগুলোর জন্য ভয়াবহ এক বাস্তবতা। সেখানে মানুষ তাদের জীবন, জীবিকা এবং প্রিয়জনকে হারিয়েছে।জলবায়ু পরিবর্তনের সবথেকে বেশি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ।
এখন পর্যন্ত এ বন্যায় কয়েক ডজন মানুষ জীবন হারিয়েছে। ভেসে গেছে বাড়ি-ঘর, সম্পদ, স্কুল। আমি এবং আমার পরিবার জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে আমার জন্মস্থানকে ধ্বংস হয়ে যেতে দেখছি। এই অনুভূতি ব্যাখ্যা করা অত্যন্ত কঠিন। আমাকে দেখতে হচ্ছে, আমার জীবদ্দশায়ই আমার জন্মভূমি জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি ভিক্টিম হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ডলি বেগম কানাডার একজন রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১৮ সালে কানাডার ওন্টারিও প্রদেশের টরেন্টো এলাকার স্কারবরো সাউথওয়েষ্ট আসন থেকে জয়ী হন। নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) এমপি হিসেবে ডলি বেগম প্রথমবারের মতো প্রোভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি অন্টারিও নিউ ডেমক্রেটিক পার্টির সদস্য হিসেবে স্কারবো সাউথওয়েস্ট এলাকার প্রতিনিধিত্ব করছেন। ডলি বেগম প্রাদেশিক সংগঠন কিপ হাইড্রো পাবলিক ক্যাম্পেইনের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন। এছাড়া স্কেয়ারবোরো হেলথ কোয়ালিশনের সহ-প্রধান ছিলেন তিনি। ডলি বেগমের জন্ম বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলায়।