সম্প্রতি বিইআরসি আইন সংশোধনক্রমে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণ করছে বিইআরসির পরিবর্তে মন্ত্রণালয়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিদ্যুৎ, তরল জ্বালানি ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। আমি মনে করি, এটি একটি অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত। মন্ত্রণালয় কর্তৃক মূল্যবৃদ্ধির আদেশে অদূরদর্শিতা, অজ্ঞতা, অদক্ষতার সব প্রমাণই রয়েছে। আদালতের বিচার করার ক্ষমতা তো আর আইন মন্ত্রণালয় নিতে পারে না। আদালতের ক্ষমতা আদালতের হাতেই থাকতে হয়। এই কারণেই বিচারিক সব কার্যক্রমকে শাসন বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করা হয়েছে এবং বিচার বিভাগের অধীনে আনা হয়েছে। একই বিবেচনায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) অ্যাক্ট, ২০০৩-এর আওতায় এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন তথা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি গঠিত হয় এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বিইআরসির ওপর অর্পিত হয়। তদুপরি, বিইআরসি আইনমতে প্রণীত প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সব পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ কিংবা পুনর্নির্ধারণের একক ক্ষমতা বিইআরসি পায়।
আমরা লক্ষ করলাম, কিছুদিন আগে উক্ত আইন সংশোধনের মাধ্যমে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উভয় বিভাগ বিইআরসির পাশাপাশি যথাক্রমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ সব পেট্রোলিয়ামজাত (এনার্জি) পণ্যের মূল্য নির্ধারণ ক্ষমতা নিয়ে নিল। অর্থাৎ মূল্য পুনর্নির্ধারণ তথা বৃদ্ধির একই কাজ এখন দুটি প্রতিষ্ঠান করতে পারবে। এক্ষেত্রে একধরনের দ্বৈত কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করা হলো এবং সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো। ফলে বিইআরসি আইন এবং বিইআরসি এখন অকার্যকর।
বিইআরসি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে মূল্য পুনর্নির্ধারণ তথা বৃদ্ধি করে। সেক্ষেত্রে গণশুনানি করা বাধ্যতামূলক। তাতে বিদ্যুৎ কিংবা জ্বালানির মূল্য কতটা বৃদ্ধি, ন্যায্য ও যৌক্তিক, সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ শুনানিতে উপস্থিত হয়ে কিংবা টেলিভিশন বা সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পারে। প্রবিধান মতে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব লাইসেন্সিরা বিইআরসিতে দাখিল করে। শুনানির আগে, পরে ও শুনানির সময় পক্ষগণ তাদের মতামত দিতে পারেন। কিন্তু এখন সেসব সুযোগ দেওয়া হয় না। ইচ্ছেমাফিক মন্ত্রণালয় যখন-তখন বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য পরিবর্তন তথা বৃদ্ধি করে। প্রবিধানের কোনো বিধানই মানা হয় না। শুনানিও হয় না। কোথাও কোনো জবাবদিহি নেই। আমরা দেখলাম, বিগত দুই মাসে ৫ শতাংশ হারে বিদ্যুতের মূল্য তিন বার বৃদ্ধি করল মন্ত্রণালয়। শোনা যাচ্ছে, প্রতি মাসেই ৫ শতাংশ হারে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
বিইআরসির পাঁচ সদস্যের মধ্যে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম খাতে প্রতি খাতের ওপর ডিগ্রিধারী, দক্ষ ও পেশায় ন্যূনতম ২০ বছরের অভিজ্ঞ একজন হিসেবে তিন জন সদস্য রাখা হয়েছে। কিন্তু সরকার কর্তৃক নির্বাহী আদেশে মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট খাতে অভিজ্ঞ ডিগ্রিধারী পেশাদারের সংশ্লিষ্টতা নেই। আইনি পরিবর্তনের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির ক্ষমতা সরকার নিয়েছে। খাতভিত্তিক ডিগ্রিধারী অভিজ্ঞ পেশাদার ব্যক্তির অংশগ্রহণ এবং প্রবিধান অনুসরণ ব্যতীত পক্ষগণ শুনানি ছাড়ায় সরকার তথা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় মূল্যবৃদ্ধি করার ক্ষমতা পায়নি। অথচ এসব আইনি প্রক্রিয়া উপেক্ষা করে মন্ত্রণালয় ইচ্ছামাফিক বিদ্যুৎ, গ্যাস ও তরল জ্বালানির মূল্যহার বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। তাতে বিইআরসি আইন লঙ্ঘন ও অকার্যকর করা হচ্ছে, যা বিইআরসি আইনের ৪২ ধারা মতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সরকার আইন পরিবর্তন করে এনার্জির মূল্যহার পরিবর্তন বা পুনর্নির্ধারণের একক ক্ষমতা আমলাদের হাতে দিল। অথচ আইনি বিবেচনায় তারা এ কাজের যোগ্য ও উপযুক্ত নন। ফলে বিইআরসি আইনের কথিত পরিবর্তন ভোক্তার জ্বালানি অধিকার সংরক্ষণের পরিপন্থি এবং অন্যায় ও অযৌক্তিক। তাই ভোক্তারা এখন ‘এনার্জি জাস্টিস’ থেকে বঞ্চিত।
আইনি কাঠামোগত পদ্ধতি অবলম্বনে বিইআরসি মূল্য নির্ধারণ করে। তাতে ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ এবং অসাধু ব্যবসা প্রতিরোধ করা তাদের জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মূল্যহার নির্ধারণে সে বাধ্যবাধকতা মন্ত্রণালয়ের জন্য নয়—এমন মনে করার কোনো সুযোগ নেই। এনার্জির মূল্যহার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সনদ এবং দেশের প্রচলিত তিনটি আইন সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হচ্ছে। ভোক্তার অধিকার রয়েছে, যে মূল্যে তাকে এনার্জি দেওয়া হচ্ছে তা মাপে, মানে ও মূল্যে সঠিক কি না—জানা ও বোঝার রয়েছে। কিন্তু নতুন ব্যবস্থায় সেই অধিকার খর্ব করা হয়েছে। জ্বালানি অধিকার এখন বিশেষভাবে মানবাধিকার বলে বিবেচিত। তাই ভোক্তার ক্ষেত্রে ‘এনার্জি জাস্টিস’ নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সরকার বিষয়টি অনুধাবনে কেন ব্যর্থ, তা কোনোভাবেই আমার বুঝে আসে না।
আমাদের দেশে চলমান জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত সংস্কার দৃশ্যমান হয় ১৯৯০ সালে। ঋণ প্রদানকারী বিদেশি সংস্থার পরামর্শে সংস্কার কার্যক্রম গৃহীত হয়। তারা আমাদের ব্যাংকগুলোর মতোই সুদে ঋণ দেয়। স্বল্পসুদেও ঋণ দেয়। কিন্তু ঋণের মূল উদ্দেশ্য, দেশে দেশে পর্যাপ্ত মুনাফায় বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাজার সৃষ্টি করা। সেজন্য তারা প্রায়শই আমাদের মতো স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পলিসি নিয়ন্ত্রণ ও সরকারের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। আমাদের চলমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সংস্কার তারই প্রমাণ। এ সংস্কার মূল উদ্দেশ্য :(১) ব্যক্তি খাতে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত আনবান্ডেলিং করা, (২) বিনিয়োগ আকর্ষণে এ খাতকে বাণিজ্যিক খাতে পরিণত করা, এবং (৩) ভর্তুকি প্রত্যাহার করা ও আর্থিক ঘাটতি সমন্বয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি করা এবং এই বৃদ্ধির মাধ্যমে এ খাতকে লাভজনক খাতে পরিণত করা। এ খাত এখন প্রায় শত ভাগ আনবান্ডিলিং। কোম্পনি আইন ১৯৯২ অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে নিয়োজিত সরকারি-বেসরকারি সংস্থা-কোম্পানিসমূহ বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। শুধু বিদ্যুৎ বিতরণে কয়েকটি অঞ্চল পিডিবির অধীনে এখনো রয়েছে। কমবেশি ১৮ শতাংশ মুনাফায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উত্পাদনক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, ৫০ শতাংশও ব্যবহার হয় না। মাত্রাতিরিক্ত মুনাফায় বিদ্যুৎ, এলএনজি ও তরল জ্বালানি আমদানি করা হচ্ছে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে নিয়োজিত কোনো কোম্পানি বা সংস্থা লসে নেই, যথেষ্ট লাভে রয়েছে এবং প্রতিযোগিতা বহির্ভূতভাবে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও যথেষ্ট মুনাফা পাচ্ছে। ২০২২ সালে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির গণশুনানিতে উপস্থাপিত তথ্যাদিতে দেখা যায়, গ্যাস বিতরণ কোম্পানিসমূহের কাছে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা উদ্বৃত্ত মজুত রয়েছে। প্রতি ঘন মিটার গ্যাস দেশীয় কোম্পানির কাছ থেকে কেনা হয় ১ দশমিক ৩ টাকায়। সেখানে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করা হয় ৮৩ টাকা মূল্যহারে এবং সেই সঙ্গে কেবল এলএনজি রিগ্যানিফিকেশন চার্জই দেওয়া হয় ২ দশমিক ১৭ টাকা হারে। অথচ গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ দ্বারা দেশীয় কোম্পানি কর্তৃক গ্যাস মজুত ও উৎপাদন প্রবৃদ্ধি নেই বললেই চলে। তহবিলের ৬৫ শতাংশ অর্থই অব্যবহৃত থেকে গেছে। অথচ অতীতে বলা হতো, অর্থের অভাবে নিজস্ব সক্ষমতায় গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন না করতে পারায় বিদেশি বিনিয়োগে তা করতে হয়।
ইতিপূর্বে সৃষ্ট আর্থিক ঘাটতি সমন্বয় করা হতো সরকারি ভর্তুকি ও ভোক্তা পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধি দ্বারা। এখন ভোক্তা পর্যায়ে দ্রুত মূল্যবৃদ্ধি করে ভর্তুকি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। ঋণ প্রদানকারী সংস্থার ব্যবসা বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিস্তৃত। আইএমএফের ঋণের শর্ত, ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে হবে। ক্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে সম্পৃক্ত অন্যায় ও অযৌক্তিক তথা লুণ্ঠনমূলক ব্যয় ও মুনাফা রোধ করা হলে বিদ্যমান ভর্তুকি সমন্বয় হয় এবং মূল্যবৃদ্ধির চাপ থাকে না। আমলানির্ভর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রশাসন আইএমএফের শর্ত পূরণে এখন তৎপর। অন্য কোনো বিষয়ে তাদের মনোযোগ নেই।
কোনো দেশের সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য দেশটির স্বাধীনতা থাকতে হয়। পরাধীন দেশে জাতীয় সক্ষমতার বিকাশ ঘটে না। আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করি এবং আমাদের জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি বা উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সরকারের কাছে জ্বালানি খাত উন্নয়ন বিশেষভাবে প্রাধান্য পায়। বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা পিডিবি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পিডিবি সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রশাসনিক ক্ষমতা পায়। পাশাপাশি জ্বালানি খাত উন্নয়নে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা পেট্রোবাংলা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সচিবের পদমর্যাদায় এক বিশেষজ্ঞকে এই সংস্থার চেয়ারম্যান করা হয়। অর্থাৎ এনার্জি খাতে প্রফেশনালদের ক্ষমতায়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এনার্জি খাতে প্রফেশনালদের সক্ষমতা উন্নয়নই মূলত জ্বালানি খাতের উন্নয়ন। সংবিধানে শহর ও গ্রামের মধ্যে বৈষম্য নিরসনে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতায়নে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সরকার সে ব্যাপারেও অগ্রসর হয়।
১৯৭৩ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। তখন প্রতিটি দেশই নিজস্ব উৎস থেকে জ্বালানি অনুসন্ধানে উদ্যোগ নেয়। আমরাও নিজস্ব উৎস থেকে বিদেশি বিনিয়োগে প্রোডাকশন শেয়ারিং কনট্রাক্ট (পিএসসি)-এর আওতায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে উদ্যোগ করি। কিন্তু দেখা গেল, যে পরিমাণ তেল-গ্যাস উত্তোলিত হবে তার বেশির ভাগই বিদেশি কোম্পানিকে দিয়ে দিতে হবে। তাই তখন ভাবা হলো, নিজস্ব সক্ষমতায় উত্তোলন করা হলে শতভাগ তেল-গ্যাস আমরাই পাব। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এই ভাবনা কাজে আসেনি। জাতীয় সক্ষমতার উন্নয়ন হয়নি। ১৯৭৫ সালের আগস্টের আগের সরকারের আমলে এনার্জি খাতে জাতীয় সক্ষমতা উন্নয়ন গুরুত্ব পেলেও পরবর্তী সময়ে দেশের বিয়োগান্ত রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত প্রশাসন আমলাকরণ হয়। প্রতিটি সংস্থা-কোম্পানির প্রশাসন কোনো না কোনোভাবে আমলা নিয়ন্ত্রণে আসে। এভাবে কোনো কারিগরি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা উন্নয়ন অসম্ভব। ফলে অনিয়ম-দুর্নীতি এবং লুণ্ঠনমূলক ব্যয়বৃদ্ধি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। জনগণের বিরোধিতার কারণে কয়লা ও গ্যাস রপ্তানি রহিত হলেও জাতীয় সক্ষমতা উন্নয়ন উপেক্ষিত হওয়ায় নিজস্ব সক্ষমতায় তা উত্তোলন করার পরিবর্তে অতি মাত্রায় বিদ্যুৎ, কয়লা, গ্যাস (এলএনজি) আমদানির ওপর দেশ এখন নির্ভরশীল। এমতাবস্থায়, একদিকে আমদানি ব্যয়বৃদ্ধি, অন্যদিকে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও সংকট এবং ভর্তুকি প্রত্যাহারে ভোক্তা পর্যায়ে অব্যাহত অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধি জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তাকে চরমভাবে অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হওয়াই স্বাভাবিক।