কলকাতার আটটি পয়েন্ট থেকে আগামীকাল শনিবার লাইভ দেখা যাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান। কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসের বিশেষ অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পৌরসভা এমন আয়োজন করেছে শহর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে। শুক্রবার এমন আনন্দের বার্তা দিয়েছে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন।
এক বিবৃতিতে রঞ্জন সেন বলেন, পদ্মা সেতুকে নিয়ে বাংলাদেশের পাশাপাশি কলকাতার মানুষের আবেগকে সম্মান জানাতে কলকাতা উপদূতাবাসের তরফে আমরা কলকাতায় লাইভ জয়েন্ট স্ক্রিনে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন লাইভ দেখানোর কথা ভাবনায় আনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পৌরসভাকে তাদের ডিজিটাল বিলবোর্ডগুলোকে ব্যবহার করার অনুমতি চাই। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বন্ধুত্বের বার্তায় আমরা আপ্লুত, তারা এক মুহূর্ত চিন্তা না করেই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের লাইভ ভিডিও সম্প্রচারণের সমস্ত দায়িত্ব নিজেদের কাধে তুলে নেন।
রঞ্জন সেন আরও বলেন, মোট ৫টি ডিজিটাল এবং ৩টি এনালগ বিলবোর্ডে ভেসে উঠবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের লাইভ ভিডিও এবং আপডেট। তবে ঠিক কোথায় কোথায় লাইভ ভিডিও সম্প্রচার হবে কলকাতা পৌরসংস্থার তরফে তার সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। যদিও কলকাতায় পার্ক সার্কাস ৭ পয়েন্ট ক্রসিং, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের এক নম্বর গেটের সামনে। ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া ওয়াই চ্যানেলের সামনে এবং এলগিন রোডে আজ বিকেল থেকেই কলকাতা পৌরসভার ডিজিটাল বিলবোর্ড গুলোতে ভেসে উঠছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের সব প্রস্তুতির ছবি।
এছাড়াও কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসের আয়োজনে বাংলাদেশ গ্যালারিতে আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের লাইভ সম্প্রচার করা হবে।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে ১০ ঘণ্টা নয় ,মাত্র ৪ ঘণ্টাতেই কলকাতা থেকে পৌঁছানো যাবে ঢাকায়। আর এই সেতু উদ্বোধন হয়ে গেলেই বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে দুই দেশই। অনেকেই বলছেন, এই সেতু চালু হয়ে গেলে পদ্মাপাড়ের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি যেমন বদলে দেবে ঠিক সেভাবেই প্রতিবেশী দেশ ভারত বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গেও তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। যাতায়াত সহজতর হওয়ায় বাড়বে পর্যটন, বাড়বে চিকিৎসা খাতে ব্যবসা। তাইতো আশায় বুক বাঁধছে কলকাতা। বাংলাদেশের পদ্মা সেতুর সামর্থে উচ্ছ্বসিত এপারের ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ থেকে সমাজ সচেতন ব্যক্তিরাও।