মানিকগঞ্জের ঘিওরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা চত্বরে মহড়া দেওয়ার অভিযোগে সোহেল রানা নামে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার সোহেল রানার দাবি ড্রেজার নিয়ে নিউজ করার কারণে তার ওপর হামলা হওয়ার আশঙ্কায় তিনি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলায় গিয়েছিলেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘিওর উপজেলা চত্বরে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকালে ঘিওর উপজেলা পরিষদ চত্বরে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত লাইভ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সোহেল রানা একটি দেশীয় অস্ত্র (ছোরা) নিয়ে যায়। এ নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তার এমন কর্মকাণ্ডে অনুষ্ঠানস্থলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ তার কাছ থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় সেখানে তার বিরুদ্ধে মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহেল রানা জানান, দুই দিন আগে ধলেশ্বরী নদীতে অবৈধ ড্রেজিং নিয়ে টিভিতে নিউজ করার কারণে শনিবার সকালে ড্রেজার ব্যবসায়ী আমিনুর রহমানসহ তিনজন তাকে মারধর করেন। এর পর তিনি বাড়িতে গিয়ে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে ফোন করেন। ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব তাকে উপজেলা চত্বরে আসতে বলেন। তার ওপর হামলার আশঙ্কায় সে একটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে উপজেলায় যায়। সেখানে পুলিশ তার ছোরাটি নিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুর রহমান জানান, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালীন সময়ে সোহেল রানা ধারালো অস্ত্র নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে এসে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। তার এমন কর্মকাণ্ডে অনেক শিক্ষার্থী ও বয়স্করা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। একজন সাংবাদিকের এমন আচরণ খুবই দুঃখজনক।
এ ব্যাপারে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান, সোহেল রানা ধারালো অস্ত্র নিয়ে সভাস্থলে গিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন। পুলিশ তার কাছ থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করে প্রথমে তাকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে সন্ধ্যায় সোহেল রানার বিরুদ্ধে এএসআই রাসেল খান বাদী হয়ে দেশীয় অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন। রোববার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।