বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শিরোনামে প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়। এ সময় বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুয়েল সেক, ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হ্যাভেন, অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন।
এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। জুনে পূর্বাভাস দিয়েছিল ৬ দশমিক ৭ শতাংশের। অর্থাত্ সেই তুলনায় বিশ্বব্যাংক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বেশ কমিয়েছে। বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, আর্থিক খাতে নানা ধরনের কড়াকড়ি ও আমদানি নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশের প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার চলতি অর্থবছরে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসবে। তবে পরের বছর এই হার বৃদ্ধি পেয়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর জানান, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রভাব বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতে পড়েছে। তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। সামষ্টিক অর্থনীতি বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তিনি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা বিশ্বের দেশগুলোকে প্রভাবিত করেছে। তবে বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কারগুলো প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সংস্কারে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে গতকাল এডিবির ঢাকা অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০২৩’-এর প্রতিবেদনের তথ্য উপস্থাপন করেন সংস্থাটির সিনিয়র ইকোনমিস্ট সন চ্যাং হং। এ সময় এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং উপস্থিত ছিলেন। এডিবি জানায়, বৈশ্বিক সংকটে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক। কারণ রপ্তানি কমে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটও বড় সমস্যায় ফেলেছে।
গত সেপ্টেম্বরে এডিবির পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। ছয় মাসের ব্যবধানে সংস্থাটি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ১ দশমিক ৩ শতাংশীয় পয়েন্ট হ্রাস করেছে। এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, সরকার অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তুলনামূলকভাবে ভালো করছে।