লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকা ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে সবজিসহ অন্য সব নিত্যপণ্যের বাজারে। নানা অজুহাতে বিক্রেতারা সবজির দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বেশ অস্বস্তিতে রয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, টমেটো ৪০-৬০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, করলা ২০০ টাকা। এছাড়া আকারভেদে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, বরবটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, পটল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৫০ টাকা, লাল আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং সঁজনে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এসব বাজারে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। বড় আকারের রসুন ১২০ টাকা। ছোট রসুনের (দেশি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা। আর প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলেন, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় তাজা সবজির দাম বেড়েছে। রোজায় সবজি কম খাওয়া হলেও ক্রেতারা তাজা সবজি চায়। যদিও এমন অজুহাত মানতে নারাজ সাধারণ ক্রেতারা।
সপ্তাহের বাজার করতে আসা বজলুর করিম বলেন, ‘যার যখন মন চায়, তখন সে দাম বাড়ায়! আমরা নিরুপায়। বাধ্য হয়ে বেশি দামেই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হয়।’
এদিন মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায় গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিলো ২২০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা। যা গত সপ্তাহে কেজি ছিলো ৩২০-৩৩০ টাকা। আর লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা।
ব্রয়লার মুরগির মতো দাম কমেছে ফার্মের মুরগির ডিমের। আজ প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে ফার্মের মুরগির ডজন ছিলো ১৪০ টাকা। তবে, হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা আর দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০-২২০ টাকা।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বাজারভেদে গরুর মাংস বিক্রি হয়ে ৭৫০ টাকা কেজিতে। আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৫০-১১০০ টাকায়।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাঙাস প্রতি কেজি ২২০ টাকা, ছোট ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫৬০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, গলদা প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, মলা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, পাবদা প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, তেঁলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ টাকা, কাতল মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে রোজাকে কেন্দ্র করে দাম বেড়েছে মুদি পণ্যেরও। বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা। প্যাকেট আটা প্রতি কেজি ৬৫ টাকা এবং ২ কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এছাড়া দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা। সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা। লবনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকায়।