রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তার দেশ শিগগিরই বেলারুশের কাছে অত্যাধুনিক ইস্কান্দার-এম ক্ষেপণাস্ত্র তুলে দেবে। সাধারণ ওয়ারহেডের পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ৫০০ কিলোমিটার দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। বেলারুশে মোতায়েন করা হলে ইউরোপের বহু দেশ ও সেসব দেশে মোতায়েন মার্কিন ঘাঁটিগুলো এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় আসবে।
ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ’তে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে ‘আনুষ্ঠানিক প্রার্থী’ করার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে পুতিনের এ বক্তব্যকে প্রথম প্রতিক্রিয়া বলা যেতে পারে।
তিনি গতকাল শনিবার সেন্ট পিটার্সবার্গে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সাথে এক বৈঠকে এ খবর জানান।
তিনি আরো বলেন, মস্কো বেলারুশের সুখোই-২৫ জঙ্গিবিমানের আধুনিকায়ন করে এগুলোকে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম করে তুলবে। অবশ্য পুতিন একথা বলতে ভুল করেননি যে, প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর আবেদনে সাড়া দিয়ে তিনি এ কাজ করতে যাচ্ছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর পাশ্চাত্যের সাথে মস্কোর সম্পর্কে যে উত্তেজনা দেখা দেয় তা সাম্প্রতিক সময়ে বহুগুণে বেড়ে গেছে। গত চার মাসে পুতিন বহুবার তার দেশের পরমাণু অস্ত্র সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি যদিও পশ্চিমা দেশগুলোকে সরাসরি পরমাণু বোমা হামলার হুমকি দেননি কিন্তু তিনি এর মাধ্যমে ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা করার ব্যাপারে পাশ্চাত্যকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেন ও মলদোভাকে ইইউর সদস্যপদ পেতে ‘আনুষ্ঠানিক প্রার্থী’ করার সিদ্ধান্ত নেন। কিছু সংস্কার এনে ইউরোপীয় মানে পৌঁছাতে পারলে দেশ দুটি পূর্ণ সদস্য হতে পারবে। এতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।