রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন শুটার সুমন শিকদার মুসা।ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদী রোববার তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদী রোববার তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আদালত সংশ্লিষ্টরা জানান, তৃতীয় দফার রিমান্ড চলাকালে শুক্রবার মুসাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মুসা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবির পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার। এরপর বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ২২ জুন মুসাকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মুসাকে ফের তিনদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
টিপু-প্রীতি হত্যার ঘটনায় বগুড়া থেকে গ্রেপ্রতার শুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী হিসেবে মুসার নাম আসে। পরে জানা যায়, মুসা ঘটনার আগেই ১২ মার্চ দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত চলে যান।
এরপর এনসিবির সহযোগিতায় গত ১২ মে ওমান পুলিশ মুসাকে গ্রেপ্তার করে। পরে বাংলাদেশ পুলিশের একটি টিম ওমানে গিয়ে ৯ জুন মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনে।
গত ২৪ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি নামে এক কলেজছাত্রীও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ হত্যাকাণ্ডের পর ওইদিন রাতেই নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।
গত ২৪ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি নামে এক কলেজছাত্রীও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ হত্যাকাণ্ডের পর ওইদিন রাতেই নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।