২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত মুম্বাইয়ের হয়ে আইপিএল মাতিয়েছেন বাবা শচীন টেন্ডুলকার। দলটির হয়ে আইপিএলে মোট ৭৮টি ম্যাচ খেলা শচীন টেন্ডুলকার মুম্বাইকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। সেই মুম্বাইয়ের হয়েই গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে আইপিএলে অভিষেক হলো ২৩ বছর বয়সী অর্জুনের। গতকাল মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ফিল্ডিং করতে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই অর্জুন টেন্ডুলকার গড়ে ফেলেন বাবা-ছেলের আইপিএল খেলার নতুন রেকর্ড।
বাবা ছিলেন পৃথিবীবিখ্যাত ব্যাটসম্যান। বাবার বিপরীত পথে হেঁটে ছেলে অর্জুন পেস বোলার। অর্জুন মুম্বাইয়ের আইপিএল দলে প্রথম ডাক পান ২০২১ সালে। কিন্তু চোটের কারণে সে মৌসুমে একটা ম্যাচও খেলা হয়নি। ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি ২০২২ সালেও। এ বছরও প্রথম তিনটি ম্যাচ রিজার্ভ বেঞ্চ গরম করেই কাটাতে হয় তাকে। অবশেষে গতকাল ইংলিশ পেসার জোফ্রা আর্চারের চোটের সুবাদে একাদশে জায়গা পেয়ে যান অর্জুন। গতকাল মুম্বাইকে নেতৃত্ব দেওয়া সূর্যকুমার যাদব প্রথম ওভারেই বল তুলে দেন অর্জুন টেন্ডুলকারের হাতে। অভিষেকে মাত্র দুই ওভার বোলিং করার সুযোগ পেয়েছেন অর্জুন। তাতে ১৭ রান দিলেও উইকেট পাননি। তবে অভিষেকটা তার জয় দিয়েই হয়েছে।
ছোট টেন্ডুলকারের অভিষেক ম্যাচে ৫ উইকেটে জিতেছে মুম্বাই। প্রথমে ব্যাট করে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে (৯টি ছক্কা ও ৬ চারে ৫১ বলে ১০৪) চড়ে ৬ উইকেটে ১৮৫ রান করে কলকাতা। দীর্ঘ ১৫ বছর পর কলকাতার হয়ে আইপিএলে সেঞ্চুরির করার কৃতিত্ব দেখালেন ভেঙ্কটেশ। কলকাতার হয়ে প্রথম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ২০০৮ সালে প্রথম আইপিএলেই তিনি খেলেছিলেন ১৫৮ রানের টর্নেডো ইনিংস। ভেঙ্কটেশ কলকাতার ১৫ বছরের সেঞ্চুরি খরা কাটালেও দলের হার এড়াতে পারেননি। মুম্বাই ১৪ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখেই তুলে নিয়েছে নিজেদের দ্বিতীয় জয় (১৮৬/৫)।