অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে গভীর সংকটে থাকা পাকিস্তানের পার্লামেন্টে এবার রাজনীতি ও প্রশাসনিক বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ বন্ধে ‘সুপ্রিম কোর্ট (প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রসিডিওর), বিল ২০২৩’ নামে একটি বিল পাস করা হয়েছে। এতে প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা হ্রাস করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ।
বহুল আলোচিত ওই বিলটি শুক্রবার (২২ এপ্রিল) গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে এটি এখন আইন হিসেবে কার্যকর হয়েছে। দেশটির প্রধান বিচারপতির হাতে এতদিন সুয়োমোটো বা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করার ক্ষমতা ছিল। সংশোধিত আইনে প্রধান বিচারপতির সেই ক্ষমতা হ্রাস করা হয়েছে। সংসদীয় বিষয়ে শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গঠনের কথাও রয়েছে এতে (যাতে প্রধান বিচারপতির এককভাবে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারির ক্ষমতা খর্ব হয়)।
এর আগে, গত মাসে পার্লামেন্টে উত্থাপনের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রস্তাবিত আইনের সংশোধনীকে অনুমোদন দেয়। সরকারের এই উদ্যোগে দেশটির বিচার বিভাগে বিভাজন দেখা দিয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে নির্বাচনকে ঘিরে। গত ২২ মার্চ আকস্মিকভাবে নির্বাচন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির নির্বাচন কমিশন- ইসিপি। ৩০ এপ্রিলে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আদালতের নির্দেশ থাকলেও, তা পিছিয়ে ৮ অক্টোবরে করার সিদ্ধান্ত জানায়।
পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এ ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করে একে অসাংবিধানিক ও অবৈধ বলে। সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। পিটিআই সুয়োমোটো নোটিশ জারির জন্য মামলা করলে, সেটি গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। উল্লেখ্য, এর আগে গত মাসে জাতীয় পরিষদ এবং সিনেটে ‘সুপ্রিম কোর্ট (প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রসিডিওর), বিল ২০২৩’ বিল পাস করা হয়, এরপর সম্মতির জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছিল।