আগামী ১৬ জুন থেকে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজ শুরু করবে ইংল্যান্ড। আসন্ন পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজকে নিয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন-আপের সেরা দুই ব্যাটার স্টিভেন স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেনের জন্য বোলিংয়ে নতুন এক ডেলিভারি নিয়ে প্রস্তুত ব্রড। নতুন অস্ত্র দিয়েই স্মিথ-লাবুশেনদের ঘায়েল করতে মুখিয়ে আছেন ব্রড।
২০১৫ সালে সর্বশেষ অ্যাশেজ জিতে ইংল্যান্ড। শেষ তিন সিরিজের দু’টিতে জিতে অস্ট্রেলিয়া। একটি হয় ড্র। সর্বশেষ তিন সিরিজে ব্যাট হাতে ইংল্যান্ডের বোলারদের বিপক্ষে দারুণ সফল অস্ট্রেলিয়ার স্মিথ-লাবুশেন। এ পর্যন্ত অ্যাশেজে ৩২ ম্যাচে ৩০৪৪ রান করেছেন স্মিথ। ২০১৯ সালের অ্যাশেজে স্মিথের কনকাশন বদলি হিসেবে খেলতে নেমে ক্রিকেট বিশ্বকে নিজের জাত চেনান লাবুশেন। চার হাফ-সেঞ্চুরিতে সাত ইনিংসে ৩৫৩ রান করেন লাবুশেন। এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট রানের ফুলঝুড়ি ফোটান লাবুশেন। বর্তমানে টেস্টের এক নম্বর ব্যাটার লাবুশেন।
বলতে গেলে এখন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের প্রধান ভরসা লাবুশেন ও স্মিথ। এই দু’ব্যাটারকে নিয়ে নিজের পরিকল্পনা সাজাতে ব্যস্ত ব্রড। স্মিথ ও লাবুশেনের জন্য বিশেষ এক ধরনের আউট সুইঙ্গার আয়ত্ব করেছেন ব্রড। হাত একটু উঁচু করে এই ডেলিভারি করে থাকেন অ্যাশেজে ৩৫ টেস্টে ১৩১ উইকেট শিকার করা ব্রড। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম রাউন্ডে নতুন অস্ত্র দিয়ে সাফল্যও পেয়েছেন ব্রড। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে নটিংহ্যামশায়ারের বোলিং কোচ কেভিন শাইনের সঙ্গে এই নতুন ডেলিভারি আয়ত্ব করেছেন তিনি। এই ডেলিভারির জন্য বোলিং অ্যাকশনেও সামান্য পরিবর্তন এনেছেন ব্রড।
এই প্রসঙ্গে ব্রড বলেন, ‘এটি আয়ত্ব করা হয়েছে লাবুশেন ও স্মিথের জন্য। তাদের ব্যাটের বাইরের কানায় বল স্পর্শ করতে নতুন কিছু করার পরিকল্পনা করছিলাম আমি। এজন্যই এই নতুন পদ্ধতি বের করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্টক ডেলিভারি সবসময়ই থাকবে ‘উবল’ সিমে অফ স্ট্যাম্পের মধ্যে সবসময়ই ঢুকে পড়বে। কারণ এটিই আমার সবচেয়ে বিপজ্জনক ডেলিভারি। তবে তাদের জন্য বল বাইরের দিকে সুইং করিয়ে বাইরে টেনে আনাও গুরুত্বপূর্ণ। তাদের দু’জনের জন্য অ্যাকশনেও ছোট্ট পরিবর্তন পরিকল্পিতভাবেই হয়েছে। ম্যাচে বল বাইরের দিকে যেভাবে সুইং করাতে পেরেছি, তা দেখাটা ছিল দারুণ।’
বোলিংয়ে উন্নতির জন্য নতুন টেকনিকের চেষ্টা করছেন ব্রড। তিনি বলেন, ‘সবসময় উন্নতি করার জন্য নতুন কিছু খুঁজে বের করতে হবে। আমি সবসময়ই নতুন কিছুর জন্য অনুশীলনে কাজ করছি। যা ম্যাচে সেটি প্রয়োগ করা যায়।