বিশ্ব ক্লাব ফুটবলে ফুটবলারদের দাম এখন আকাশচুম্বী। দলবদলের রমরমা বাজারে ফুটবলারদের এজেন্টদেরও পোয়াবারো। মোটা অঙ্কের চুক্তি করানোর মাধ্যমে তারকা ফুটবলারদের এজেন্টরাও কমিয়ে নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা। কাড়ি কাড়ি টাকা কামানোর সহজ রাস্তা হিসেবে অনেকেই তাই এজেন্ট বনে গেছেন। অনেক তারকা ফুটবলারের বাবা, ভাইয়েরাই নেমেছেন এজেন্ট পেশায়। যেমন নেইমারের বাবা নেইমার সান্তোস সিনিয়র, লিওনেল মেসির বাবা হোর্হে মেসি, ভাই মাতিয়াস মেসিও নাম লিখিয়েছেন এজেন্ট পেশায়।
কিন্তু কথা হলো, টাকা কামানোর সহজ রাস্তা হিসেবে যারা কোনো রকম যোগ্যতা-অভিজ্ঞতা ছাড়াই এজেন্ট বনে গেছেন, তাদের এবার মাথায় হাত। কারণ, ফুটবলাদের এজেন্ট হওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক পরীক্ষার নিয়ম চালু করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। এজেন্টদের প্রথম ধাপের একটা পরীক্ষা নিয়েও ফেলেছে ফিফা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, ফিফার সেই পরীক্ষায় এজেন্টদের প্রায় অর্ধেকই ফেল মেরে বসে আছেন।
ফিফার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৯ এপ্রিল সারা বিশ্বের মোট ৩৮০০ জন ফুটবল এজেন্ট ফিফার বাধ্যতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তার মধ্যে পাশ করেছেন মাত্র ১৯৬২ জন। বাকি ১৮৩৮ জনই ফেল। পাশের হার মাত্র ৫১.৬৩ শতাংশ। অকৃতকার্যের হার ৪৮.৩৭ শতাংশ। বর্তমানের তারকা ফুটবলারদের এজেন্টদের মধ্যে কে কে পাশ করেছেন, কে কে ফেল মেরেছেন, তা অবশ্য প্রকাশ করেনি ফিফা। পাশ করা ১৯৬২ জনই ফিফার কাছ থেকে লাইসেন্স পাবেন। ফিফা নিয়ম করেছে আগামী অক্টোবর থেকেই এজেন্টগিরি করতে হলে প্রত্যেকের লাইসেন্স লাগবে। সেজন্যই এই পরীক্ষার ব্যবস্থা। ২০১৫ সালের পর যারা লাইসেন্স পাননি, তাদের সবাইকে ফিফার এই পরীক্ষা দিতে হবে। প্রথম ধাপের পরীক্ষায় যারা ফেল করেছেন, তাদের আবার সুযোগ পাবেন পরীক্ষা দেওয়ার। আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা।