বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্যের উন্নতি আনতে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এই অর্থায়নের মাধ্যমে বাণিজ্য ও পরিবহন ব্যয় কমানোর পাশাপাশি আঞ্চলিক করিডোরে পণ্য আনা-নেওয়ার সময় কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন অনুমোদন করা হয়েছে। দি এপিলারেটিং ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রেড কানেক্টিভিটি ইন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া (অ্যাকসেস) প্রোগ্রামের ফেজ-১-এর আওতায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ম্যানুয়াল ও কাগুজে বাণিজ্য প্রক্রিয়া, অপর্যাপ্ত পরিবহন ও বাণিজ্য অবকাঠামো, নিয়ন্ত্রণমূলক বাণিজ্য, পরিবহন নীতিমালাসহ আঞ্চলিক বাণিজ্যের বাধাগুলো দূর করার বিষয়ে কাজ করবে।এই কর্মসূূচির আওতায় বাংলাদেশ ও নেপালের বাণিজ্য প্রক্রিয়াগুলো ডিজিটালাইজড ও স্বয়ংক্রিয় করা হবে। এতে পণ্যের সীমান্ত পারাপারে সময় কমবে। চালু হবে পণ্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ ও বেরিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ট্র্যাকিং পদ্ধতি। থাকবে স্মার্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও। কিছু সড়ক করিডোর, গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর ও কাস্টমস স্টেশনের অবকাঠামোর উন্নতি আনা হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্যে সমন্বয় আসবে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শাফার বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক বাণিজ্যের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এখানকার দেশগুলোর মোট বাণিজ্যের মাত্র ৫ শতাংশ হচ্ছে আঞ্চলিক বাণিজ্যের মাধ্যমে। অথচ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এ হার ৫০ শতাংশের মতো। আন্তঃবাণিজ্যের মাধ্যমে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেক বাড়তে পারে। এ অঞ্চলের মানুষের জন্য তৈরি হতে পারে নানা সুযোগ।
বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে বাণিজ্য বেড়ে ছয় গুণ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনার ৯৩ শতাংশই এখনও সুপ্ত রয়ে গেছে। এই কর্মসূচি আঞ্চলিক বাণিজ্যে উন্নতি আনতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে। সেই সঙ্গে কভিড-১৯-এর মতো অতিমারি মোকাবিলায়ও কাজে আসবে।