আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের যে পরিমাণ পরিশোধ করার কথা, তার ৫০ শতাংশ কেউ দিলে খেলাপিমুক্ত দেখানো যাবে। গ্রাহকের নগদ প্রবাহ পর্যালোচনা করে শুধু প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের এ সুবিধা দিতে হবে। আর প্রকৃত আদায় না করে সুদ আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ-সংক্রান্ত সার্কুলার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর ২০২০ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা এক টাকাও ফেরত না দিলেও খেলাপি হয়নি। ২০২১ সালে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করার কথা, তার ২৫ শতাংশ এবং ব্যাংকে ১৫ শতাংশ দিলে তা নিয়মিত ছিল। চলতি বছর ব্যাংকের গ্রাহকদের ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ পরিশোধ করলে নিয়মিত দেখাতে বলা হয়েছে।আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ পুনরায় বৃদ্ধি পাওয়া এবং কিছু জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঋণ শ্রেণিকরণ এবং আরোপিত সুদ আয় খাতে স্থানান্তরের নতুন নির্দেশনা দেওয়া হলো। প্রতি ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে আদায়যোগ্য অর্থের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে অশ্রেণিকৃত দেখানো যাবে। গ্রাহকের নগদ প্রবাহ পর্যালোচনা করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শুধু প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের এ সুবিধা দেওয়া যাবে। আর বন্যাকবলিত অঞ্চলের সিএমএসএমই ও কৃষি খাতের গ্রাহকরা নূ্যনতম ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রেও গ্রাহক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কিনা নিশ্চিত হতে হবে।এ সার্কুলারের আওতায় সুবিধা পাওয়া ঋণের ওপর দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি আরোপ করা যাবে না। প্রতি ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে কোনো ঋণ গ্রহীতা এ নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে যথানিয়মে শ্রেণিকরণ করে সিআইবিতে রিপোর্ট করতে হবে।