উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ রিয়াল মাদ্রিদের টুর্নামেন্ট বলেই পরিচিতি পেয়ে গেছে। কারণটাও সুস্পষ্টই। টুর্নামেন্টে রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল। সর্বশেষ ১০ মৌসুমের মধ্যে ৫ বারই শিরোপা জিতেছে তারা। শিরোপা জিতেছে সবশেষ মৌসুমেও। মানে রিয়াল এবার খেলছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরে। স্বাভাবিকভাবেই রিয়াল চায় মুকুট ধরে রাখতে। সেই আশায় রিয়াল নিজেদের ঘরের মাঠের প্রথম লেগে জিতে ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকতে চাইবে।
বিপরীতে ম্যান সিটি এখন পর্যন্ত একবারও শিরোপা জিততে পারেনি। ইংলিশ ক্লাব তাই মর্যাদার এই টুর্নামেন্টে শিরোপা জিততে মরিয়া। পেপ গার্দিওলার দল জ্বলছে প্রতিশোধের আগুনেও। এমনিতে মুখোমুখি সাক্ষাতে দুই দলই সমানে সমান। সব মিলে দুই দল ১০টি ম্যাচে একে অন্যের মুখোমুখি হয়েছে। তার ৪টিতে জিতেছে রিয়াল, ৪টিতে ম্যান সিটি। বাকি দুটি সাক্ষাতে হয়েছে ড্র। সমতা চ্যাম্পিয়ন্স লিগও। ৪ মৌসুমে মুখোমুখি ৮ ম্যাচের মধ্যে ৩ বার জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রিয়াল, ৩ বার জিতেছে ম্যান সিটি। বাকি দুই সাক্ষাতে ড্র।
এই সমতার মধ্যেও ম্যান সিটির জন্য একটা প্রতিশোধের ব্যাপার আগে। এর আগে দুই দল দুই বার এই সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে। সেই দুবারই ম্যান সিটির স্বপ্ন গুঁড়িয়ে ফাইনালে উঠেছে রিয়াল। এবং যথারীতি দুই বারই শিরোপাও জিতেছে মাদ্রিদ জায়ান্টরা। ম্যান সিটির এই দুটি স্বপ্নভঙ্গের ক্ষতও টাটকা। ২০১৫-১৬ মৌসুমের পর গত মৌসুমেও এই সেমিতেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল গার্দিওলার দলের। নিজেদের মাঠের প্রথম লেগে ম্যান সিটি ৪-৩ গোলে জিতলেও বার্নাব্যুর ফিরতি লেগে ৩-১ গোলে জিতে ৬-৫ অগ্রগামিতায় রিয়াল পা রাখে ফাইনালে। সেই স্বপ্নভঙ্গের প্রতিশোধ নিতেই আজ আবার বার্নাব্যুতে আসছে ম্যান সিটি। মনের প্রতিশোধ-ক্ষুধা মেটানোর সামর্থ্যও আছে ম্যানসিটির।
একজন আর্লিং হালান্ডে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে উড়ছে ম্যান সিটি। সর্বশেষ ম্যাচেও জিতে পাচ্ছে শিরোপার সুবাস। মানে বার্নাব্যুতে আসার প্রস্তুতিটা জয় দিয়েই সেরেছে গার্দিওলার দল। স্বাগতিক রিয়ালও আজকের মহারণের প্রস্তুতি সেরেছে কোপা ডেল রের শিরোপা জিতে। ম্যান সিটির যদি হালান্ড থাকেন, তাহলে রিয়ালের আছেন করিম বেনজেমা, ভিনিসিয়াস, রদ্রিগো।মহারণের মঞ্চ প্রস্তুত, প্রস্তুত দুই দলের সৈনিকেরা, এখন শুধু মাঠের লড়াইয়ের অপেক্ষা।