বর্তমান সময়ের সেরা দুই দল বলা যাবে কিনা তাদের সেটি নিয়ে তর্ক হতেই পারে। সেই দুই দলের জমজমাট লড়াই হলো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে। উত্তাপ ছড়ানো এই লড়াইয়ে অবশ্য জেতেনি রিয়াল মাদ্রিদ বা ম্যানচেস্টার সিটির কেউ। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ১-১ গোলে ড্র হয়েছে রিয়াল-সিটির লড়াই। প্রথমার্ধে ভিনিসিয়াসের গোলে রিয়াল এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে সিটিজেনদের সমতায় ফেরান কেভিন ডি ব্রুইনা।
মঙ্গলবার (৯ মে) রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইয়ানলের প্রথম লেগে মুখোমুখি হয়েছিলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি। নিজেদের ঘরের মাঠে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিলো মাদ্রিদিস্তাদের। তবে সিটিজেনরা টক্কর দিয়েছে সমানে সমানেই। এগিয়ে গিয়েও নিজেদের লিড ধরে রাখতে পারেনি মদ্রিদ। বরং প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে ১-১ গোলে ড্র করে বেশ ভালো ফলই করেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আগুনে ফর্মে থাকা সিটিজেনরা এই ম্যাচেও মাঠে নেমেছিলো ডি ব্রুইনা, আর্লিং হালান্ডদের নিয়ে। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে সিটিজেনরা। একের পর এক আক্রমণ করলেও এক থিবো কোর্তোয়ার সামনেই আটকে গেছে হালান্ড, রদ্রিরা। ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটে সমানে আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি সিটি।
তবে ধীরে ধীরে ম্যাচের হাল ধরতে শুরু করে লস ব্লাঙ্কোসরা। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে দলের প্রথম আক্রমণ থেকেই গোল করে গ্যালারিকে উল্লাসে মাতান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। এডুয়ার্দো কামাভিঙ্গার পাস থেকে বল পেয়ে ২২ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শট নেনে ভিনিসিয়াস। সেই বল আটকাতে পারেননি সিটি গোলরক্ষক এডারসন। ১-০ গোলের লিড নিয়েই ঘরের মাঠে বিরতিতে যায় রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে এনেম আবার আক্রমণের ধার বাড়ায় সিটিজেনরা। অবশেষে ৬৭ মিনিটে সমতায় ফেরানো গোলটি করেন ডি ব্রুইন। এই নিয়ে টানা ৩ আসরে সেমিফাইনালের স্কোরশিটে নাম লেখালেন এই মিডফিল্ডার।
এরপর বাকিটা সময় অবশ্য জয়ের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে রিয়াল। তবে এডারসনের সামনে এসেই থেমে গেছে তাদের সব চেষ্টা। ম্যাচশেষে ১-১ গোলের সমতা নিয়েই রিয়ালের মাঠে থেকে ফিরেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
ফিরতি লেগের লড়াইয়ে বুধবার (১৭ মে) ম্যানসিটির ইতিহাদ স্টেডিয়ামেই উত্তর পাওয়া যাবে ফাইনালে ওঠার সমীকরণের।