সাময়িক হিসাবে চলতি অর্থবছর (২০২২-২৩) শেষে দেশের মোট উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের চেয়ে কম। গত অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ১ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি এই অর্থবছরে মাথাপিছু আয়ও কমেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জিডিপির এই তথ্য তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, চলতি অর্থবছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। বছর শেষে এটা পরিবর্তন হতে পারে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। তবে অর্থবছরের শেষ দিকে এসে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনে সরকার। এখন সাময়িক হিসাবে তা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও কম হচ্ছে। সরকারি হিসাবে গত অর্থবছরে (২০২১-২২) দেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ১ শতাংশ।
ডলারের দাম বাড়ায় দেশের মাথাপিছু আয় কমার তথ্য দিয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, ডলারের হিসাবে মাথাপিছু আয় কমেছে। ২ হাজার ৮০০ ডলারের নিচে রয়েছে। সঠিক সংখ্যা এখনই বলতে চাইছি না। তবে টাকার অঙ্কে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। প্রতিমন্ত্রী মাথাপিছু আয়ের হিসাব না বললেও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, মাথাপিছু আয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছে ২ হাজার ৭৬৩ ডলার।
২০২১-২২ অর্থবছরের সাময়িক তথ্যে মাথাপিছু আয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৮২৪ ডলার। বছর শেষে তা কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৭৯৩ ডলারে। সে হিসাবে মাথাপিছু আয় কমেছে ৩০ ডলার।
সাধারণত মাথাপিছু আয়কে ডলারের বিনিময় হার দিয়ে ভাগ করে মাথাপিছু আয় হিসাব করা হয়। বর্তমানে সরকারি হিসাবে ডলারের দাম ১০৮ টাকা, এক বছর আগে যা ছিল ৮৬ টাকার মতো। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন কম হয়েছে। কারণ, অর্থনৈতিক সংকটের জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প আমরা স্থগিত করেছিলাম। এর প্রভাব পড়েছে এডিপি বাস্তবায়নে।’